
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রশাসন থেকে দলবাজদের তাড়িয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ লোকদের দিয়ে জনপ্রশাসন পুনর্গঠন করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিতে নবেম্বরেই গণভোট এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে। সোজা কথায় কাজ না হলে আমরা আঙ্গুল বাঁকা করলে কেউ পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।’ তিনি বলেন, নব্য ফ্যাসিবাদীদের প্রতিহত করতে জাতি অতীতের মতোই প্রস্তুত আছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনও দল যদি নিজেদেরকে দেশের মালিক মনে করে থাকে, তবে তাদের উচিত হবে ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসু থেকে শিক্ষা নেওয়া। সবেমাত্র ছাত্ররা ভোটের মাধ্যমে বয়কট শুরু করছে। জনগণও সুযোগ পেলে নব্য ফ্যাসিবাদীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করে ইসলামের পক্ষে এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে।’ আগামী সংসদকে কুরআনের সংসদে পরিণত করতে দাড়িপাল্লার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যে ছাত্ররা ভোটের মাধ্যমে বয়কট শুরু করছে। জনগণও সুযোগ পেলে নব্য ফ্যাসিবাদীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করে ইসলামের পক্ষে এক নীরব বিপ্লব ঘটাবে।’
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ৫ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগরী ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী আমীর খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় বক্তব্য দেন খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মহানগরী সেক্রেটারি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি গাউসুল আযম হাদী, খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা উত্তর সভাপতি মো. ইউসুফ ফকির ও মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মহানগরী অফিস সেক্রেটারি মিম মিরাজ হোসাইন, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, আ স ম মামুন শাহীন, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, জেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম, খুলনা সদর থানা আমীর এস এম হাফিজুর রহমান, সোনাডাঙ্গা থানা আমীর জি এম শহিদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আমীর আব্দুল্লাহ আল মামুন, হরিণটানা থানা আমীর আব্দুল গফুর, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মুনাওয়ার আনসারী, লবণচরা থানা আমীর মোজাফফর হোসেন, খুলনা সদর থানা সেক্রেটারি আব্দুস সালাম, সোনাডাঙ্গা থানা সেক্রেটারি মাওলানা জাহিদুর রহমান নাঈম, খালিশপুর থানা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়াল, দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দীন, আড়ংঘাটা থানা সেক্রেটারি শেখ মো. তুহিন, হরিণটানা থানা সেক্রেটারি এডভোকেট ব ম মনিরুল ইসলাম, লবণচরা থানা সেক্রেটারি ম্হামুদুল হাসান জিকু, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান ও কাজী মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলে জাতীয় ও দলীয় পতাকা, ব্যানার-প্লাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার জনতা অংশ নেয়।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ‘পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন, তারাও সংসদের কুরআনের আইন পাস করেনি। কিন্তু ইতোমধ্যেই আল্লাহর আইনের পক্ষে দেশে জনমত সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকট অতীতে সেখানে দাঁড়ি, টুপি ও ইসলামী লেবাসধারীদের অপদস্ত করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ইসলামী আদর্শের ছাত্ররাই বিজয়ী হয়েছে।’ তিনি ছাত্রদের এ ঐতিহাসিক বিজয়কে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত টেনে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশে নতুন রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে সুখী, সমৃদ্ধশালী ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং প্রতিটি ভোটের যথাযথ মূল্যায়নের স্বার্থে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে। যারা বিরোধিতা করছেন তারাও একদিন এ পদ্ধতির সুফল বুঝবেন এবং এ দাবি মেনেই নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি


