বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক ও খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা প্রত্যেক নাগরিকের জন্য কেবল একটি আইনি বাধ্যবাধকতা নয় বরং এটি একটি নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শেণীর মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা এবং তাদের সঙ্গে সহযোগীতামূলকভাবে কাজ করা ইসলামী মূল্যবোধেরই একটি অংশ। জামায়াতে ইসলামী সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চায়। এদেশের জনগণ যদি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ দেয় তাহলে শাসক না হয়ে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে। দেশের সকল সম্প্রদায়ের নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করবে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় কয়রা সদর ইউনিয়নের ৬নং কয়রা (গড়িয়াবাড়ি ) হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ সব কথা বলেন।
৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ রজব আলী মল্লিকের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কয়রা উপজেলা সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দীন শিহাব, কয়রা সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর গাজী মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শেখ আব্দুল বারী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সুব্রত মিস্ত্রি, শিক্ষক সুকুমার থান্দার, মহেন্দ্র মন্ডল, দুলাল মিস্ত্রি, সমরেখ রায়, গুনধর গাইন, পুলিন, হিমাংশু মন্ডল, নীলিমা রায়, তুলশী গাইন প্রমুখ।
দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর এবং একটি ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যেখানে সকল নাগরিক তাদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নির্বিশেষে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা ভোগ করবে। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি হলে কয়রা-পাইকগাছার উন্নয়নের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হবে। তিনি বৈষম্যহীন একটি সমাজ গড়ার আকাঙ্খা ব্যক্ত করে বলেন, শোষণ ও জুলুম থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল জুলুম-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
খুলনা-৬ আসনের এই সংসদ সদস্য প্রার্থী আরও বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য দক্ষিণ খুলনায় অবস্থিত সুন্দরবন। এই সুন্দরবন কে সুরক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য প্রসাশনকে জোরালো ভুমিকা রাখবেন বলে আমরা প্রতাশ্যা করি। সুন্দরবনে বনদস্যু আজকে ভরপুর হয়ে গেছে। এই বনদস্যুর ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।