সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বুধবার , ১২ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৭শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩ হাজার টাকার স্টেথিসকোপের দাম ১ লাখ ১২ হাজার, হতবাক আদালত | চ্যানেল খুলনা

৩ হাজার টাকার স্টেথিসকোপের দাম ১ লাখ ১২ হাজার, হতবাক আদালত

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃএ যেন তুঘলকি কাণ্ড! ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হেডকার্ডিয়াক স্টেথিসকোপের দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ধরণের ১১৬টি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমন অনিয়মে বিস্ময় প্রকাশ করে ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠে ২০১৪ সালে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটি গঠন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত শেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট দেখে হতবাক দেশের উচ্চ আদালত।
রিপোর্টে দেখা যায়, ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি হেডকার্ডিয়াক স্টেথোসকোপের দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এরকম ৪টি স্টেথোসকোপ আনতে ব্যয় দেখানো হয়েছে সাড়ে চার লাখ টাকা। এরকম ১১৬টি যন্ত্র ক্রয়ে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এমনকি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতেও নেয়া হয় অনিয়মের আশ্রয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘স্টেথিসকোপে ১ ইউনিটের দাম ধরা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যেটা বাজার মূল্যের চেয়ে বহুগুণ ধরা হয়েছে। হালকা যন্ত্রপাতি কিনে বিল দাবি করা হয়েছে ভারী যন্ত্রপাতির।’
এমন রিপোর্টের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের টাকা আটকে দেয় মন্ত্রণালয়। টাকা পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মেসার্স অনিক ট্রেডার্স। এত বড় অনিয়ম দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন দেশের উচ্চ আদালত। দুদককে আদেশ দেন, ৬ মাসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘যেদিন রায় হাতে আসবে সেদিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে দুদক এই মামলার তদন্ত করবে। যদি দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যদিও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীর ব্যারিস্টার রুহুল হুদ্দুস কাজলের দাবি, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই যন্ত্রপাতি কিনেছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘১০ কোটি টাকার মালামাল কেনা হয়েছে কিন্তু এখনো টাকা পরিশোধ করেনি। অথচ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ লিখেছে তাদের মালামাল সাপ্লাই দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রকল্প পরিচালকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকারও প্রশংসা করেন দেশের উচ্চ আদালত।

https://channelkhulna.tv/

স্বাস্থ আরও সংবাদ

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩৮৬ জন, একজনের মৃত্যু

বাবা-মায়ের যে ভুলের কারণে শিশুর ঠান্ডা লাগে

আরও ৬ করোনা রোগী শনাক্ত, মৃত্যু নেই

খুলনায় করোনা আক্রান্তে ৪ জনের মধ্যে ৩ জন বয়রা এলাকার

করোনায় আরো ২ জনসহ মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৫০২ জন

কারা পরিমিত পরিমাণে মাংস খাবেন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।