বাংলাদেশের জার্সিতে শমিত শোমের প্রথম গোলটা দেখার মতো। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে বলটা যখন ঘুরে গেল, মুহূর্তেই শমিত তাতে মাথা ছুঁয়ে দিলেন। শমিতের হেড থেকে করা গোলের পর বাঁধভাঙা উদযাপন শুরু করে বাংলাদেশ ফুটবল দল।
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে শমিত গতকাল গোলটা করেছেন ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে। ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৯ মিনিটে তাঁর গোলে ৩-৩ সমতা বানিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলারদের সঙ্গে উদযাপন শুরু করেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও। দর্শকদের বাধভাঙা উচ্ছ্বাস তো ছিলই। ঢাকা থেকে সুদূর কানাডায় ছড়িয়ে পড়েছে শমিত-হামজা চৌধুরীদের এমন উদযাপন। ক্যাভালরি এফসি গত রাতে নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, শমিতের গোলের পর উদযাপন করছেন তাঁর (শমিত) ক্লাব ক্যাভালরি এফসির ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। ক্যাভালরি ক্যাপশনে লিখেছে, ‘ক্যাভালরি এফসির শমিত শোম বাংলাদেশের হয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটা করেছেন। হেডে যেভাবে গোল করেছেন, সেটা সে অনুশীলনের সময়ই শিখেছিলেন। অভিনন্দন শমিত।’
রুদ্ধশ্বাস লড়াই বলতে যা বোঝায়, তেমনটাই হয়েছে বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচে। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বাংলাদেশকে ৪-৩ গোলে হারিয়েছে হংকং। শমিতের গোলের ২ মিনিট পর হংকং ফরোয়ার্ড রাফায়েল মার্কিস করেন জয়সূচক গোল। কিছুক্ষণ আগেও যখন উদযাপনে ব্যস্ত ছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল, মুহূর্তেই সেটা হরিষে বিষাদে পরিণত হয়। হংকং ম্যাচ শেষে ম্যাচ সম্প্রচারক টি-স্পোর্টসকে শমিত বলেন, ‘দেশের জার্সিতে গোল দিতে পেরে অনেক সম্মানিত। তবে দিন শেষে আমি গোল না পেলে বাংলাদেশ জিতলে ভালো লাগত। দল হারলে গোলের কোনো মানে নেই। তাই মন খারাপ। ম্যাচ ড্র হলেও ভালো লাগত।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকাল বাংলাদেশের গোল তিনটি করেছেন হামজা চৌধুরী, শেখ মোরসালিন ও শমিত। এদিকে হংকংয়ের মার্কিস হ্যাটট্রিক করেছেন। দলের অপর গোল করেছেন এভারটন কামারগো। হামজার ক্লাব লেস্টার সিটিও পোস্ট দিয়েছে তাঁকে নিয়ে। নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেস্টার লিখেছে, ‘হংকংয়ের সঙ্গে অল্পের জন্য জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বাংলাদেশের জার্সিতে দ্বিতীয় গোল করেছেন হামজা।’
বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছেন। অ্যাসিস্ট করেছেন এক গোলে। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ খেলে একটি ড্র করেছে। হেরেছে ২ ম্যাচ। হামজা-শমিতদের পয়েন্ট ১। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে। এবার বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেবে হংকং।