স্পেসএক্স-এর স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে। স্টারলিংক এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল বাংলাদেশ সময় ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ ব্যবহারকারীরা স্টারলিংক পরিষেবা বন্ধ থাকার অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। দুপুর ২টা ০৫ মিনিটে স্টারলিংকের পক্ষ থেকে এক্স-এ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, তারা বিভ্রাট সম্পর্কে অবগত এবং সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
বিভ্রাটের সময় স্টারলিংক অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ‘অপ্টিমাইজিং কানেকশন’ বা ‘অফলাইন’ বার্তা দেখতে পান এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেননি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হয়।
স্টারলিংক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস এক্স-এ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘স্টারলিংক নেটওয়ার্ক প্রায় সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার হয়েছে, সমস্যা আড়াই ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। এই বিভ্রাটের কারণ ছিল মূল নেটওয়ার্ক পরিচালনাকারী অভ্যন্তরীণ সফটওয়্যার পরিষেবাগুলোর ব্যর্থতা। আমাদের পরিষেবাতে সাময়িক বিঘ্নের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী; আমরা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্ক প্রদানে গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এই সমস্যার মূল কারণ সম্পূর্ণরূপে খুঁজে বের করব এবং নিশ্চিত করব যাতে এটি আর না ঘটে।’
ইলন মাস্কও বিভ্রাটের সময় মন্তব্য করে বলেন, ‘পরিষেবা শিগগিরই পুনরুদ্ধার হবে। বিভ্রাটের জন্য দুঃখিত। স্পেসএক্স মূল কারণ খতিয়ে দেখে তা ঠিকঠাক করবে, যাতে এটি আর না ঘটে।’
স্টারলিংকের ওয়েবসাইট অনুসারে, বিশ্বব্যাপী তাদের ৬০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে এবং এই সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবারের বিভ্রাটের সময় ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক সব ব্যবহারকারীই স্টারলিংকের মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাকসেস করতে পারেননি।
বর্তমানে স্টারলিংকের ৭ হাজার ৮০০ টির বেশি স্যাটেলাইট কক্ষপথে রয়েছে। তারা বাংলাদেশসহ ১৪০ টিরও বেশি দেশ, অঞ্চল এবং অন্যান্য এলাকায় পরিষেবা দেয়।