কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিক পুশইনকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় দুই দেশের সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া গুলির পর ওই এলাকায় ড্রোন উড়াচ্ছে বিএসএফ- এমন খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিএসএফ ওই সীমান্ত এলাকায় ড্রোন উড়ায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইবাড়ী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আঞ্জু মিয়া।
এতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সীমান্তে থাকা স্থানীয়রা। অন্যদিকে বিজিবির পক্ষে প্রতিবাদসহ পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দিলেও সাড়া দেয়নি বিএসএফ।
এদিকে পুশইন করা ভারতীয় নাগরিকদের বড়াইবাড়ী ক্যাম্পে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে তাদের পুশইন করা হয়।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোররাতে উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী সীমান্তে ১০৬৭-১ এস আন্তর্জাতিক মেইন পিলারের কাছ দিয়ে ৫ জন নারীসহ ১৪ জনকে পুশইন করার চেষ্টা করে ভারতীয় কাকরিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। তারা ভারতের আসাম রাজ্যের নাগরিক বলে জানা গেছে।
পুশইন করাদের মধ্যে খায়রুল ইসলাম নামে একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকও রয়েছেন। তিনি বলেন, আমাকে ২৩ মে বাড়ি থেকে তোলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে এবং আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেখে দেয়। এরপর আমাকেসহ ১৪ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে। এ সময় টহলরত বড়াইবাড়ী ক্যাম্পের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) তাদের বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণসহ ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। গুলির ঘটনার পরপরই বিজিবি সদস্যরা শূন্যরেখায় অবস্থান নেন এবং সতর্ক অবস্থানে থাকেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের গ্রামবাসীও সীমান্তে এসে জড়ো হন। তারা সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডের শূন্যরেখা থেকে বিজিবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।
এ নিয়ে সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই দেশের জওয়ানদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।