সাতক্ষীরা শহরের শহীদ নাজমুল সরনীর জুয়েলারী ব্যবসায়ি পিপি চন্দ্র জুয়েলার্সের স্বতাধিকারী কাঠিয়া কর্মকারপাড়ার গৌতম চন্দ্রের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সোয়া ৭টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। গৌতম চন্দ্র সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়া কর্মকারপাড়া এলাকার মৃত দেবেন চন্দ্রের ছেলে।
জুয়েলারী ব্যবসায়ি গৌতম চন্দ্রের বড় শ্যালক গৌর দত্ত জানান, সাতক্ষীরা শহরের কাঠিয়ার কর্মকারপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের প্রধান ফটকের ঠিক বিপরীতে রাস্তার পাশে তার জুয়েলারী ব্যবসায়ি পিপি চন্দ্র জুয়েলার্সের স্বতাধিকারী ভগ্নিপতি গৌতম চন্দ্রের বাসা। বাড়িটি চারিদিক দিয়ে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তারা পরিবারের সদস্যরা সবাই বাড়িতে তালা দিয়ে মন্দিরে আসেন পূজা দেখতে। রাত সোয়া ৭টার দিকে তার ভগ্নিপতি গৌতম চন্দ্র বাড়িতে গিয়ে দেখেন গেটের তালা ভাঙ্গা। ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখেন আলমিরার তালা ভেংগে সবকিছু তছনছ করা। যে সিন্দুকের ভিতরে গহনা রক্ষিত ছিল সেটিরও দরজা খোলা। দুর্বৃত্তরা আলমিরার ভিতরে রাখা সিন্দুকের চাবি নিয়ে দরজা খুলে সব কিছু নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আমার বোনের মেয়ের (ভাগ্নি) শ্বশুর বাড়ি ল²ীপুরে। বাচ্চা হওয়ার জন্য মাসখানেক আগে সে বাবার বাড়িতে আসে। শনিবার সকালে তার শ্বশুর বাড়ি চলে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগে বাবার দোকানে থাকা সব গহনা বাড়িতে এনে রাখা হয়। সিন্দুকের ভিতরে তার বোন ও ভাগ্নির গহনাসহ প্রায় ৬৫ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের গহনা ছিল। এছাড়া আলমারিতে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিল। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ও র্যাবের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গৌতম চন্দ্রের ছেলে প্রীতম অভিযোগ করে বলেন, কাটিয়া দুর্গা মন্দির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাদের বাড়ি। মন্দিরে যখন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অবসন্থান করছিলেন সে সময়ই এ লুটপাটের ঘটনা ঘটলো। এটা দুর্ভাগ্য।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামিনুল হক জানান, এ ঘটনায় গৃহকর্তা গৌতম চন্দ্রের স্ত্রী কৃষ্ণা চন্দ্র বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে বুধবার দুপুরে থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।