সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সরকারি পাটকল বন্ধ হলেও এখনো বহাল বিজেএমসি | চ্যানেল খুলনা

সরকারি পাটকল বন্ধ হলেও এখনো বহাল বিজেএমসি

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসরকারি সব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে বহাল থাকছে সরকারি পাটকলগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন-বিজেএমসি। এসব কারখানার কোথাও উৎপাদন কার্যক্রম নেই। বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগেই। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের পিপিপি
কিংবা ইজারা ভিত্তিতে বন্ধ কারখানা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে কার্যত বিজেএমসির কোনো প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পাটকলের লোকসানের অন্যতম কারণ বিজেএমসিতে দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সরকারি পাটকল পরিচালনা, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিজেএমসি গঠিত হয়। এখন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বিলুপ্ত করার পর বিজেএমসির প্রয়োজন আছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সমকালকে বলেন, বিজেএমসি থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এবং শিগগিরই গণমাধ্যমকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অবহিত করা হবে।
বিজিএমএসির বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ সমকালকে বলেন, পিপিপির মাধ্যমে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পাটকল চালু হলেও বিজেএমসি থেকে যাবে। কারণ, কোনো কারণে কোনো সমস্যা হলে সরকারের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হবে। পাট বিক্রি নিয়ে কৃষকের সমস্যা হোক কিংবা শিল্প পর্যায়ে সমস্যা হোক পাট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে বিজেএমসি তখন প্রয়োজনীয় ভূমিকা নেবে। বিজেএমসির অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ৮ মাস আগে বিজেএমসির দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। আগে থেকেই সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় পেশাদারিত্বের সুস্পষ্ট অভাব ছিল।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পাটকল যতদিন চালু ছিল ততদিন বিজেএমসি এসব প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেছে। এখন সরকারের কাছে পাটকল থাকবে না। বিজেএমসির এখন আর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। পিপিপির মাধ্যমে এসব পাটকল উৎপাদনে আবার ফিরিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে। আদৌ আসবে কিনা এবং কবে আসবে তা কেউ জানে না। যদি কখনও আসেও তখন সীমিত পরিসরে কয়েকজন কর্মকর্তা দিয়েই সেই দায়িত্ব পালন করা সম্ভব।
জানা গেছে, এখন মিলগুলোর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, অবিক্রীত পাটপণ্য ও মজুদ কাঁচামালের মূল্য নির্ধারণের কাজ করছে একটি টাস্কফোর্স। এ সপ্তাহের মধ্যে বিজেএমসির সম্পদের সর্বশেষ তথ্য জানা যাবে। বিলুপ্ত ঘোষণার পর এসব সম্পত্তি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মিল কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ নিরাপত্তা দলের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে।
আর্থিক লোকসানে থাকলেও প্রতি বছর পরিচালন ব্যয় বাড়ছে বিজেএমসির। বিজেএমসির পাটকলে গত ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছরই লোকসান হয়েছে। সর্বশেষ হিসাবে মোট লোকসানের পরিমাণ এখন ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। এদিকে, আয় ও উৎপাদন কমলেও নতুন নতুন নিয়োগও বন্ধ হয়নি। প্রতিবছরই বাড়ছে জনবল। নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রকাশনায় বিজেএমসির প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সর্বশেষ সংখ্যা ৪০৫ জনের কথা বলা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৩৬১ জন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ছিল ৩৩২ জন। বন্ধ সরকারি পাটকলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এত বড় জনবল বহাল রাখা হবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে বিজেএমসি চেয়ারম্যান বলেন, পরিবর্তিত ব্যবস্থায় কতজন রাখা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

‘দেশের মানুষের দারিদ্রের হার ১৮.৭০ শতাংশে নেমে এসেছে’

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন, মায়ের কারাদণ্ড

যুবককে কুপিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই, ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার

কুষ্টিয়ায় রেস্তোরাঁয় ঢুকে ৩ জনকে ছুরিকাঘাত

জার্মানি সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার

ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
উপদেষ্টা সম্পাদক: এস এম নুর হাসান জনি
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: শেখ মশিউর রহমান
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
ঢাকা অফিসঃ ৬৬৪/এ, খিলগাও, ঢাকা-১২১৯।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির জন্য আবেদিত।