প্রয়াত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। আজ রোববার দুপুর ১২ টার দিকে শিল্পীর মরদেহ সেখানে নেওয়ার হয়। শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন সর্বস্তরের মানুষ। এরপর কুষ্টিয়ায় মা–বাবার কবরের পাশে তাঁর দাফন হবে।
সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন শিল্পীর ছেলে ইমাম নাহিল সুমন। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ফরিদা পারভীনে মরদেহ রাখা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। সেখানে বাদ যোহর হবে জানাজা।
ইমাম নাহিল জানান, ঢাকায় শেষ জানাযার পর মরদেহ নেওয়া হবে কুষ্টিয়ায়, সেখানে পৌর কবরস্থানে দাফন হবে। ইমাম বলেন, ‘মাকে কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী।’
ফরিদা পারভীন বেশকিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে।
গত ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
ইউনিভার্সেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, বুধবার থেকেই ফরিদা পারভীনের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। তার কিডনি ও ব্রেন কাজ করছিল না। রক্তের ইনফেকশন পুরো শরীর ছড়িয়ে পরে। শেষ মূহুর্তে সর্বোচ্চ মাত্রার ওষুধ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে তার শ্বাসপ্রসার বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সর্বোচ্চ সেষ্টা করেছি। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। আজ সোয়া ১০টার দিকে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলা হয়।”