
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার পত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের ইতিহাসের এক শোকাবহ অধ্যায় এবং শহীদদের স্মৃতি অক্ষুন্ন রাখার জন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শাসন, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে কোন অন্যায় অবিচার দেখলে তা প্রতিরোধ করতে হবে। সকলকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। ১৪ ডিসেম্বর (রোববার) বেলা ১১ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে) খুলনার উদ্যোগে খুলনা প্রেসক্লাবস্থ ইউনিয়ন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
ইউনিয়নের সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রানার পরিচালনায় বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আহমদ মুসা রঞ্জু প্রমুখ। শহীদ বুদ্ধিজীবী এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. নূরুজ্জামান। আলোচনা সভার শুরুতেই পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন সাপ্তাহিক সোনার বাংলার খুলনার প্রতিনিধি এস এ মুকুল।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৪ ডিসেম্বর পৃথিবীর ইতিহাসের এক জঘন্য কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে পুরো দেশের মানুষ যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কবি-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে জাতিকে মেধাশূন্য করার এ নৃশংস নিধনযজ্ঞ সেদিন গোটা জাতিসহ পুরো বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দিয়েছিল। বক্তারা আরও বলেন, বাঙালি জাতির দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামে এই বুদ্ধিজীবীরা মেধা, মনন ও লেখার মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেখিয়েছেন মুক্তির পথ। গোটা জাতিকে উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।


