সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বৃহস্পতিবার , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শত কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনে অভিযুক্ত বন্দরের তিন কর্মকর্তা | চ্যানেল খুলনা

৪ বছর ধরে নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান দরপত্র পাচ্ছে

শত কোটি টাকার ঘুষ লেনদেনে অভিযুক্ত বন্দরের তিন কর্মকর্তা

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃঘুষ লেনদেন ও দরপত্রের প্রকৃত মূল্যের ৫ গুণ বেশি মূল্য দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরের ডিসি ক্যাপ্টেনসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ ৪ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দরপত্র দিয়ে কয়েকশ কোটি টাকা আর্থিক লেনদেনের তথ্য পেয়ে তদন্তে নেমেছে দুদক।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক জাফর আহমদের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম চট্টগ্রাম বন্দরে অনুসন্ধান পরিচালনা করে। অভিযুক্ত তিন কর্মকর্তা হলেন চট্টগ্রাম বন্দর নৌ-বিভাগের আওতাধীন মেরিন ওয়ার্কশপ ১৯ ডিসি ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম, মেরিন ওয়ার্কশপের নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ ও মো. মহিউদ্দীন।

অভিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্বত্ত্বাধিকারীরা হলেন হার্ডেন মেরিন প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী শিপ চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসান। নিহান ট্রের্ডাসের স্বত্ত্বাধিকারী এ কে আজাদ। নাইফা ট্রেডিংয়ের স্বত্ত্বাধিকারী সাবেক ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালক তোয়াফ সিদ্দিকী। ইউনাইটেড কোম্পানি ও মের্সাস মোহাম্মাদিয়া অটোমেশনের স্বত্ত্বাধিকারী জালাল উদ্দিন। মের্সাস ন্যাশনাল রেডিওটারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. এনাম।

জানা যায়, বন্দরের তিন কর্মকর্তা একে অপরের যোগসাজশে নির্দিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অবৈধভাবে অগ্রিম আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দরপত্র দেন। গত ২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ ও ২০১৯-২০২০ অর্থবছর পর্যন্ত বন্দরের আওতাধীন বন্দরের মেরিন ওয়ার্কশপ ঘোষিত একচেটিয়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দরপত্রগুলো দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় মেরিন ওয়ার্কশপ থেকে দেওয়া এই দরপত্রগুলোকে প্রকৃত মূল্যের পরিবর্তে বেশি মূল্য ধরা হয়। ২০ লাখ টাকার কাজের দরপত্রে মূল্য ধরা হয়েছে ১-২ কোটি টাকা।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, একটি দরপত্রে ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম ৩০ লাখ টাকার একটি কাজের জন্য মেসার্স ন্যাশনাল রেডিওটারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. এনামের কাছ থেকে ঘুষ নেন ৬-৭ লাখ টাকা। এছাড়া ১ কোটি টাকার দরপত্রে ঘুষ গ্রহণ করেন প্রায় ১০-২০ লাখ টাকা। এইভাবে দীর্ঘদিন ধরে ওই কর্মকর্তার নেতৃত্বে অবৈধভাবে আর্থিক ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে প্রকৃত দরদাতাকে কাজ না দিয়ে মনোনীত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ দেওয়া হয়।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে বন্দরের ১৯ ডিসি ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম ও দুই নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে এ বিষয়ে নথিপত্র, ফাইল ও দরপত্রদাতা প্রতিষ্ঠানের তালিকাসহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নথিপত্র ও ফাইলগুলো যাচাই-বাছাইয়ের পর একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে কমিশন বরাবরে সুপারিশ করা হবে। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নারী দালাল আটক

টঙ্গীতে দুই সন্তানকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করলেন মা

বড় ভাইকে হত্যার পর ৯৯৯-এ কল করে যুবকের আত্মসমর্পণ

শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় বৃদ্ধকে হাতেনাতে ধরলেন স্থানীয়রা

স্ত্রী বাইরে যাওয়ার সুযোগে মেয়েকে ধর্ষণ করেন সৎবাবা

হঠাৎ বিস্ফোরণে বাজারে আতঙ্ক, স্থানীয়দের দাবি গুপ্ত হামলা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।