মামলাবাজ, ভূমিদস্যু ও নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে হোতা খুলনার রূপসা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের আশরাফ লস্করের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূক্তভোগি মাহবুব লস্কর।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাহবুব লস্করের নাতনী বেদনা খাতুন, ডালিয়া খাতুন, শহিদুল লস্কর।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, রূপসা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের মৃত. রুস্তম লস্করের ছেলে আশরাফ লস্কর (৬৫)। তিনি বর্তমানে ঢাকায় (মিরপুর-১, বাড়ি নং-১৪, রোড নং-৩) বসবাস করেন।তিনি একজন মামলাবাজ, ভূমিদস্যু ও নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের হোতা। তঅসহায় মানুষের উপর জুলুম, জমি বিক্রি করে তাদের কাগজপত্র থাকা সত্বেও দখল না দিয়ে হয়রানী করে আসছেন তিনি। এমনকি বিভিন্ন থানায় এ অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করে স্বার্থ হাসিল করছেন। তার অত্যাচারে বসতভিটা ছেড়ে দিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। আশরাফ লস্কর প্রশাসন ও সিন্ডিকেটের অন্তরায় তার স্ত্রী, সেলিম লস্কর ওরফে মজনু, কবির শেখ, স ম হাবিবুর রহমান এদের নির্যাতন করে আসছে। অসহায় এ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।হয়রানিমূলক এ কর্মকাণ্ডের যারা শিকার তারা হলেন- আনন্দনগর গ্রামের ডালিয়া খাতুন, বেদানা খাতুন, সোবহান শেখ, আমিন শেখ, জামাল শেখ, বিল্লাল ওরফে মাহবুব লস্করের পরিবারের অন্যরা। আশরাফ লস্করের বিচরণ শুধু খুলনা জেলায় না, সুদূর ঢাকা পর্যন্ত এদের দৌরাত্ম্য। আশরাফ লস্কর ঢাকায় থেকে কলকাঠি নাড়ান। ঢাকায় থেকে তিনি বিবিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ফায়দা লোটার জন্য এক শ্রেণির কুচক্রী আইনী লোকের মাধ্যমে বিভিন্ন থানায় তাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আশরাফ লস্কর তার মেয়ে কেয়া বেগমকে দেহ ব্যবসায় নামিয়ে যুবসমাজ ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কৌশলে ফাঁদে ফেলে মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। তাদের এহেন কর্মকান্ড নিয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে আমাদের নিজ বাড়িতে আশরাফ লস্করের ইন্ধোনে একই গ্রামের সোবহান শেখ, আমিন শেখ, রিবা বেগম তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, সেনা প্রধান, আইজিপি, জেলা প্রশাসক, RAB প্রধান, পুলিশ সুপার, ইউএনও, ডিবি পুলিশ প্রধান, ওসিসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে উপরোক্ত তথ্যাদি বিবেচনা পূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।