২৪ এর জুলাই-আগস্টের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দরিবিলা গ্রামের সোহেল রানার করা মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীসহ শিক্ষক, ডাক্তার, ব্যবসায়ীসহ নিরীহ ব্যক্তিদের নাম থাকার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগিরা।
রবিবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভূক্তভোগি সোহাগ মন্ডল, জয়নাল হোসেন টোটন, উত্তম অধিকারী ও পরিমল ডাক্তার জানান, মামলার বাদী সোহেল রানাকে আমরা চিনিও না। আর যে মামলায় আমাদের আসামী করা হয়েছে এ ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার মহম্মদপুরে। উত্তম অধিকারী জানান, আমাকে বিভিন্ন সময়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মজুমদার নানা কারণে টাকা চেয়ে আসছিলো। আমি তাকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে। আরেক ভূক্তভোগি পরিমল ডাক্তার জানান, আমরা চারজনে শ্রীপুরে সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামে একটি ক্লিনিক চালাতাম। একপর্যায়ে একজন অংশীদার তার অংশ বিক্রি করে চলে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার ফিরে এসে মালিকানা দাবি করে। তিনি তার অযৌক্তিক দাবি না মানলে মাসুদ মজুমদার তার উল্টো ১৫ লাখ টাকা চায়। সেই টাকা না দেওয়ায় এই মামলায় তাকে আসামী করা হয়েছে।
এ মামলার বাদী সোহেল রানা গত বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির আহবায়ক আলী আহমেদের কাছে ভিডিও বক্তব্য দেন। সেখানে সোহেল রানা এ মামলায় আসামীদের নাম দেননি বলে জানান, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে জেলা কমিটি থেকে মাসুদ মজুমদারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় ।
সংবাদ সমেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম জোয়ারদার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আব্বাস উদ্দিন।