
মাগুরায় বেগম রোকেয়া দিবসে ১০ অদম্য নারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন, মাগুরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় মহিলা সংস্থা।
৫ টি ক্যাটাগরিতে জেলা ও সদর উপজেলা পর্যায়ে ১০ নারীকে দেওয়া হয় সম্মাননা ও সনদ। জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত ৫ অদম্য নারী হলো অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মোছা: কহিনুর আক্তার, সফল জননী নারী হোসনেয়ারা বেগম, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী সখিনা খাতুন, নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামের জয়ী নারী মোছাঃ রিক্তা পারভিন এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী কল্যাণী রানী বিশ্বাস।
মাগুরা সদর উপজেলা পর্যায়ে মনোনীত ৫ অদম্য নারী হলো অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মোছাঃ কহিনুর আক্তার, সফল জননী নারী নাসরিন ফাতেমা , শিক্ষা ও চাকরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী শামীম আরা, নির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন যুদ্ধে জয়ী নারী সারমিন নাহার ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী কল্যাণী রানী বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে মাগুরা জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ প্রধান অতিথি থেকে ১০ অদম্য নারীর হাতে ফুল, সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। মাগুরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল আওয়াল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মাগুরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) শাহ শিবলী সাদিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নাহার, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, অদম্য নারী রিক্তা পারভীন ও নাছরিন ফাতেমা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলার মুসলিম নারী জাগরণের ইতিহাসে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন অনন্য আলোকবর্তিতা। উনিশ শতকের শেষ থেকে বিশ শতকের প্রথমার্ধে নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, বর্ণবাদ ও সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া সংগ্রাম গড়ে তুলে তুলেছিলেন। সমাজ যেখানে নারীকে গৃহকোণের অন্ধকারে আবদ্ধ রাখত সেখানে রোকেয়ার কন্ঠ ছিল প্রতিবাদের।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেত্রী, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।


