মাগুরা সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের সাংবাদিক আব্দুল হাকিমের ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। মাগুরা শহরে বসবাসকারী আব্দুল হাকিম তার পৈতৃক জমি বর্গাদারের মাধ্যমে চাষাবাদ করতেন। কিন্তু, কিছু ভূমি দস্যু তাকে জমি থেকে বিতাড়িত করে দখল করে নেয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ভূমি দস্যুদের মধ্যে আছেন – আজগর, মোস্তফা, নান্নু, বাসার, জামির, মুকাদ্দেস, কালাম, তকব্বর, আব্দুস সালাম মোল্লা এবং আমির। এদের চক্রান্তে আব্দুল হাকিমের জমির ফসল বিক্রি করে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তারা তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছে, যার কারণে আব্দুল হাকিম এখন তার নিজ জমিতে যেতে পারছেন না।
আব্দুল হাকিম তার অভিযোগে বলেন, “এই জমি থেকে একসময় আমার পরিবারের জীবনধারণের জন্য তিন ফসলি চাষাবাদ হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে জমি থেকে বিতাড়িত হয়ে আমি ও আমার পরিবার গভীর অর্থসংকটে পড়েছি। যদি এই জমি উদ্ধার না করতে পারি, তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।”
তার জমি, যা ৪০০ পেঁপে গাছের চাষাবাদের জন্য উপযুক্ত ছিল, সেই জমির ক্ষতি গত ৪ বছরে ৩২ লক্ষ টাকারও বেশি হয়েছে। জমিতে স্থাপিত সাবমারসিবল টিউবওয়েলও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যে ভূমি দস্যুরা তার বর্গাচাষী বাসারুলকে উস্কানি দিয়ে ধান চাষ করতে দেয়নি এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
এদিকে, আব্দুল হাকিম ১৪৪/১৪৫ ধারায় প্রথমে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভূমি প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছেন। তবে, ভূমি দস্যুরা তাকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে হত্যার হুমকি প্রদান করেছে। ২১ মে, ২০২৫ তারিখে নান্নু, মোস্তফা, বাসার, এবং তার স্ত্রী চন্দ্র তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা আদালতের আদেশ অনুযায়ী তদন্ত করছেন এবং জমি দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। আব্দুল হাকিম দ্রুত তার জমি উদ্ধার এবং ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।