বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই । আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুলাই চার্টার অনুযায়ী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। সংসদের উভয় কক্ষে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রণালি (চজ সিস্টেম) চালু করতে হবে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অতীতের নৃশংসতা ও হত্যাকান্ডের দোষীদের বিচার কার্যকর করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলীয় জোটের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, একটি হোন্ডা তিনজন গুন্ডা কেন্দ্র ঠান্ডা- এভাবে স্বৈরাচারী কায়দায় কেন্দ্র দখল রুখে দিতে অবশ্যই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে নভেম্বরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জনগণ ৫৪ বছরে ভুল শুধরানোর সুযোগ হিসেবে আগামী নির্বাচনকে কাজে লাগাতে চায়। মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় যার বাস্তব প্রমাণ। বুধবার (২২ অক্টোবর) খুলনা-৩ আসনের খালিশপুর থানাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের পদ্মা গেটসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজী, সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন এর মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সিদ্দিকুর রহমান, দৌলতপুর থানা আমীর মোশাররফ আনসারী, ৭ নং ওয়ার্ড আমীর আলমগীর হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা মুনসুর আলম চৌধুরি, সাবেক কাউন্সিলর আশরাফ হোসেন, বি এল কলেজের সাবেক ভিপি এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, বিপ্লব হোসেন, মো. সাইদুর রহমান, জামায়াত নেতা মামুন কাজল, ডা. মনির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, বাবুল হোসেন, নূর আলম, আব্দুল মালেক, বেলাল হোসেন, মো. সোহেল, মো. নান্নু, আল-আমিন, নজরুল ইসলাম, শ্রমিকনেতা জাহিদুল ইসলাম, বদরুর রশিদ মিন্টু, ফারুক হাওলাদার, হাবিবুর রহমান, যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. ইমরান হাসান, সাগর, তানভীর আহমেদ, মো. সুমন শেখ, ছাত্রশিবির নেতা ইয়াসিন আরাফাত, শাফায়াত হোসেন, নাজমুল কবির, হাসান আাল-সাদিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-৩ আসনের এই সংসদ সদস্য প্রার্থী আরও বলেন, ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার রক্ত, ত্যাগ ও জীবনের বিনিময়ে প্রাপ্ত আজকের বাংলাদেশে আর কোন প্রতারণামুলক নির্বাচনী প্রহসন হতে দেয়া হবে না। একইভাবে ধোঁকা ও জালিয়াতির নির্বাচন তথা জাল ও ভুয়া ভোট বাংলাদেশের মানুষ আর হতে দেবে না। এ জন্যে অবিলম্বে জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে নবেম্বর মাসের মধ্যে দেশে গণভোটের মাধ্যমে তা গ্রহণ করে জুলাই সনদের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় এ নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সৎ নেতৃত্ব ও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চায়। আমরা ক্ষমতায় গেলে চাঁদাবাজীমুক্ত সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠন করবো ইনশাআল্লাহ। আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নির্বাচনে সকল সম্প্রদায়ের সমর্থন আশা করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা গত ১৭ বছর জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরও কোনো কিছুতেই জামায়াতে ইসলামী এক মুহুর্তের জন্য থেমে থাকেনি, থেমে যায়নি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নতুন বাংলাদেশ গড়বে।