গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ১৮ বছর বয়সী এক নববধূকে বিয়ের পরদিন দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। নববধূর স্বামী আসিফ মিয়া (২৬) মূল আসামি। এ ছাড়া আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নববধূর ভাই জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে সাঘাটা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেনমোহরে সাঘাটার ওসমানেরপাড়া গ্রামের আশাদুল ইসলামের ছেলে আসিফ মিয়ার সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর আসিফ মিয়া স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীসহ আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে নববধূকে ধর্ষণ করেন।
পরে নববধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে গত শুক্রবার বেলা ২টার দিকে তাঁকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের ভাগগরীব গ্রাম থেকে নববধূর স্বামীসহ সাতজনকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে আটক ব্যক্তিদের সাঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদশা আলম বলেন, এ ঘটনায় নববধূর স্বামীসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছয়জনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নববধূর স্বামী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে অন্যদের নিয়ে নববধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘অন্য সাংবাদিকেরা এত প্রশ্ন করেন না, আপনি অনেক প্রশ্ন করছেন।’ এরপরই তিনি ফোন কেটে দেন।