খুলনা-৫ আসনে ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের কান্ডারী মোহাম্মদ আলী আসগার লবী বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার গত ১৭ বছর যুব-তরুণ প্রজন্মের হাতে সুলভ মূল্যে মাদক তুলে দিতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশকে মেরুদণ্ডহীন জাতিতে পরিণত করা। সে জন্যই ভোটাধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছিল। তবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি’র ১৭ বছরের আন্দোলন ছিল যুগপৎ। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পালায়ন করলেও বাংলাদেশ এখনো ষড়যন্ত্র মুক্ত হয়নি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করে জনগনের সরকার গঠন করেই বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবো। বিএনপি’র নেতৃত্বে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম্যত্ব, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার হবে। মাদকমুক্ত হবে যুবসমাজ। সুস্থ সবল শিক্ষিত স্বদেশপ্রেমী যুবশক্তিই আগামীর রাষ্ট্র বিনির্মাণে মূল ভিত্তি। সকল সম্প্রদায়ের মিলিত শক্তি দেশ গড়ার হাতিয়ার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খুলনা জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল এতে সভাপতিত্ব করেন।
বিএনপি নেতা আলী আসগার লবী আরও বলেন, গত ১৭টি বছর বিএনপি ভাঙতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছিল আওয়ামী সরকার। কিন্তু চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূলের একজন কর্মী-সমার্থক পর্যন্ত বিএনপি একটি শরীরের মতোই। বিএনপি’র মধ্যে পরস্পর কোনো দুরত্ব নেই। দল যাকে যেখানে মনোনীত করবে, আমরা সবাই সেখানে তার পক্ষেই কাজ করবো। অনেক বড় রাজনৈতিক প্লাটফরম; বহু যোগ্য নেতা রয়েছেন আমাদের। প্রত্যেকেই স্ব স্ব জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
প্রধান আলোচক ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. এসএম শফিকুল আলম মনা। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম।
খুলনা জেলা জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপি’র সদস্য ও জেলা জিয়া পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম নূর, বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. রুহুল আমীন, ফুলতলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সেলিম হোসেন, অনুপম মিত্র, মো. মঞ্জুর রহমান, আলী আজিম হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এসএম কামরান হাসান ও মো. নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম সুমন। গীতা পাঠ করেন পল্লীশ্রী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহ-প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ মন্ডল।।