সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা রবিবার , ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
বাঘায় ৬৬ লাখ টাকায় সেতু নির্মাণ, তবে রাস্তা নেই | চ্যানেল খুলনা

বাঘায় ৬৬ লাখ টাকায় সেতু নির্মাণ, তবে রাস্তা নেই

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃরাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর পরপর দুটি সেতু আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। এ সেতু দুটি ৪ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু যাতায়াতের উপযোগী করা হয়নি। শুধু নির্মাণকৃত সেতু দুটি দাঁড়িয়ে আছে। কোনো কাজে আসছে না।

জানা গেছে, বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর ৪০০ গজের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪০ ফুট করে একই সঙ্গে পরপর দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।এই দুটি সেতু প্রায় ৬৬ লাখ টাকা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর মুখে ও রাস্তায় মাটি না দেয়ার কারণে এই সেতু দুটি জনগণের চলাচলে কোনো কাজে আসছে না। তারপরও মানুষ সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করছে।

সেতু দুটির মধ্যে একটি হল সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকায় পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর ও আরেকটি হল তার ৪০০ গজ পূর্ব দিকে কড়ালি নওশারা পদ্মা নদীর ক্যানেলের ওপর। ফলে এই দুটি সেতু ৪ বছর আগে নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না চলাচলকারীদের।

উপজেলার সুলতানপুর গোরস্থানের রাশেদ মিয়ার মোড় সংলগ্ন এলাকার কলেজ শিক্ষক আবদুল আওয়াল বলেন, আমরা এই সেতুর ওপারে কিছু জমি আছে। এই জমিগুলোর ফসল সংগ্রহ করে আনতে ডাবল লেবার খরচ দিতে হচ্ছে।

৪ বছর আগে সেতু তৈরি করা হলেও রাস্তার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে আমরা কষ্ট করে শুকনো মৌসুমে এই সেতুর পাশে নিচ দিয়ে চলাচল করছি। বর্ষা মৌসুমে নৌকায় যাতায়াত করি। সেতুর মুখে ও রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেতুর পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করে দিলে এ সমস্যা আর থাকবে না।

দাদপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি সবজির ব্যবসা করি। এই সেতু দিয়ে পার হওয়া যায় না। ফলে দুই কিলোমিটার পথ ছয় কিলোমিটার ঘুরে সুতলানপুর এলাকায় আসতে হয়।

কড়ালি নওশার এলাকার আজিবর রহমান, আকবর হোসেন বলেন, সেতু নির্মাণের পর রাস্তা নির্মাণের জন্য বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। এ ছাড়া কৃষি ও গবাদি পশুপালননির্ভর এলাকা এটি। চরের মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য প্রতিদিন সুলতানপুর এলাকায় যেতে হয়। ফলে সেতুর মুখে মাটি ভরাট ও রাস্তা তৈরি না করায় দুর্দশার মধ্যে দিয়ে মানুষকে সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করতে হয়।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের প্রকৌশলী হেকমত আলী বলেন, ইতিমধ্যে নির্মাণকৃত ঠিকাদার বিল উত্তোলন করে নিয়েছে। তবে জামানতের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ করে জামানতের টাকা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেতু দুটি প্রায় ৬৬ লাখ টাকা মূল্যে নির্মাণ করা হয়েছে।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

কৃষকদের যেন কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিতা

মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল বিজিবি সদস্যের পা

শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বজনদের সঙ্গে মরদেহ খোঁজেন অভিযুক্ত তরুণ

জলবায়ু প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতায় রংপুরে যুবদের সংলাপ।

‘আপনাদের উস্তাদ আবু ত্বহা আদনান পুরান প্রেমে মজেছেন’, অভিযোগ স্ত্রীর

গাঁজাসহ আটক হলেন মাদক প্রতিরোধ কমিটির সভানেত্রী

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।