
শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশন ও কোচিং সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে খেলাধুলা ও সৃজনশীল চর্চায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং খুলনা-৪ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আজিজুল বারী হেলাল। তিনি বলেন,তোমরা যত বেশি খেলাধুলা করবে, তত বেশি তোমাদের পড়া মনে থাকবে। লেখাপড়া ও জীবনের প্রকৃত মূল্য খেলাধুলা, চরিত্র গঠন এবং মূল্যবোধের মধ্যেই নিহিত।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নিজ প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেলফুলিয়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও বেলফুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে “একটি বাড়ি, একটি গাছ, সবুজায়নের অঙ্গীকার” কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি স্মৃতিময় বক্তব্য প্রদান করেন। স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন,এই মাঠে আমরা খেলাধুলা করতাম, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হতো। টিফিন পিরিয়ড থেকে সকাল বেলার নাস্তা আগের সময় পর্যন্ত আমরা খেলতাম। এখন দেখি সেই মাঠ আর নেই। খেলাধুলার জায়গা কমে যাচ্ছে। এটি সন্তানদের মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার কৃত্রিম চাপ সম্পর্কে তিনি বলেন,বিকালে তোমরা কেউ যাও কোচিংয়ে, কেউ যাও প্রাইভেটে। এটা ছাত্রকে যন্ত্রের মতো বানিয়ে দেয়। আমাদের সময়ে মা বলতেন, বিকাল বই পড়ার সময় নয়, মাঠে যাও। খেলাধুলা করো। শারীরিক সক্ষমতা না থাকলে জ্ঞান কাজে লাগে না।” শুধু পরীক্ষায় প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়ার প্রতিযোগিতায় সীমাবদ্ধ না থেকে আদর্শ নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন এই স্কুলে পড়তাম, আমার সঙ্গে যারা ফার্স্ট-সেকেন্ড হতো, তারা সবাই জীবনে এগোতে পারেনি। লক্ষ্য ঠিক না থাকলে সাফল্য আসে না। দেশ ও সমাজের চোখে বড় হতে হলে চরিত্র, নৈতিকতা এবং পরিশ্রম সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিক্ষকদের মর্যাদার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষক বাবা-মায়ের সমান। যারা শিক্ষকের আদেশ মানে না, তারা যতই লেখাপড়া করুক ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়।” তিনি শিক্ষার্থীদের গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও বিশ্বসেরা বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী পড়ার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন,যে শিক্ষা কাজে লাগে না, সেই শিক্ষার মূল্য নেই। পলিটেকনিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা আজ বৈশ্বিক চাকরির বাজারে সবচেয়ে বেশি সুযোগ সৃষ্টি করছে। জীবনের প্রয়োগযোগ্য শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তব্য শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কুল প্রাঙ্গণে একটি আম ও একটি লেবু গাছ রোপণ করেন এবং বলেন,ইনশাআল্লাহ, ভবিষ্যতে এসে এই গাছের ফল তোমাদের সঙ্গে আমি খাব।পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চকোলেট বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খান জুলফিকার আলি জুলু, শেখ আব্দুর রশিদ, নাজমুস সাকিব পিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আতাউর রহমান রনু, আরিফুজ্জামান আরিফ, আজিজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান বেলাল, রেজাউল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, মোশারেফ শিকদার, রয়েল, নয়ন মোড়ল, মোল্লা জাহিদ, আলতাফ, আব্দুর রহমান, লিটন তালুকদার, ফেরদৌস, শিহাবুল ইসলাম শিহাব, মাহমুদুল ইসলাম, ফাহিম, সোহাগ, সাজ্জাদ মল্লিক, বেল্লাল এবং রাজু মল্লিকসহ স্থানীয় দলীয় নেতৃবৃন্দ।


