
পাবনায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে জামায়েত ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে দেশের সূর্য সন্তান ও দেশপ্রেমিক বলা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মামুন আল হাসান বলেন, উপস্থিত সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
এরপর তিনি বলেন, ‘আলোচনার শুরুতেই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। একইসঙ্গে স্মরণ করছি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের সূর্য সন্তান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, গোলাম আযমসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দেশপ্রেমিক সকলকে।’
এর পরই প্রতিবাদ জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা অনুষ্ঠান বয়কট করলে একপর্যায়ে শুরু হয় হট্টগোল। বেশকিছু সময় শিবির নেতাদের সঙ্গে ছাত্রদল নেতাদের কথা কাটাকাটি ও হট্টগোল হয়। শিবির নেতার বক্তব্যের প্রতিবাদে মিলনায়তনের ভেতরেই বিক্ষোভ করেন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শ্রাবণ ছাত্রশিবিরের বক্তব্যর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান।
মাহফুজুর রহমান শ্রাবণ বলেন, ‘এবার বিজয়ের মাস শুরু হয়েছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে। এটা বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জার। আগামী দিনে ছাত্রশিবির আবারও এমন বক্তব্য ও শ্লোগান দিলে আমরা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তাঁদের দাঁতভাঙা জবাব দেব।’
তবে এ প্রসঙ্গে কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মামুন আল হাসান বলেন বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি ছিল বুদ্ধিজীবী দিবস নিয়ে। কিন্তু ছাত্রদল নেতা তাঁর বক্তব্যের পুরোটাই জামায়াত শিবির নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বহির্ভূত ও নিজস্ব আদালত তৈরি করে জামায়াতের যে সকল নেতাদের হত্যা করেছে সেসব নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। মৃত মানুষদের নিয়ে বিষোদগার করেছেন। তাঁরা পূর্ব কল্পিতভাবেই অনুষ্ঠানটি পণ্ড করার চেষ্টায় ছিলেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে কলেজে কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।


