সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ৭ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২২শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
ধর্ষণে জন্ম নেয়ার ১৩ বছর পর মিলল পিতৃপরিচয় | চ্যানেল খুলনা

ধর্ষণে জন্ম নেয়ার ১৩ বছর পর মিলল পিতৃপরিচয়

ধর্ষণে জন্ম নেয়ার ১৩ বছর পর কিশোরের পিতৃপরিচয় মিলেছে। ধর্ষণের ফলে সন্তান জন্মদানের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকের সন্তান হিসেবে এক কিশোরকে স্বীকৃতি ও তার ভরণপোষণ প্রদানসহ ধর্ষকের ওয়ারিশ হিসেবে ঘোষণা দেন রংপুরের এক আদালত।

সোমবার দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এর বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী, মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার অন্নদানগর গ্রামের দিনমজুর দুই মেয়ে, এক ছেলে ও স্ত্রী রেখে অন্যত্র চলে যান। পরে তিনি অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরসংসার বাঁধেন। সেই থেকে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ওই উপজেলার সাতদরগাহ হরিচরণ গ্রামে মায়ের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন ওই দিনমজুরের স্ত্রী।

ওই দিনমজুরের বড় মেয়েকে (তৎকালীন ১৪ বছর বয়স) প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন প্রতিবেশী মৃত মজিবর রহমানের ছেলে পান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম (তৎকালীন ২২ বছর বয়স)। ২০০৭ সালের ২৬ অক্টোবর বিকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন শফিকুল। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।

২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ওই বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক গর্ভপাত ঘটানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন শফিকুল ও তার স্বজনরা। পরবর্তীতে ধর্ষণের ঘটনা এবং সন্তানের স্বীকৃতি অস্বীকার করলে প্রায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওই বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি পীরগাছা থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে তাদেরকে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়া হয়।

পরে মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে শফিকুলসহ তার বাবা মজিবর, চাচা মমতাজ উদ্দিন ও ফুফু নজিরনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন অবস্থায় আসামি মজিবর মারা যান। এর পর ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী।

এদিকে শফিকুলও অন্যত্র বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তানসহ পরিবারের কারও খোঁজ খবর নিতেন না। এ অবস্থায় দায়েরকৃত মামলায় আদালতের নির্দেশে ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর এবং ধর্ষকের ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন আদালত। পরে চিকিৎসাবিজ্ঞান পরীক্ষায় ডিএনএ টেস্টে শিশুটির পিতৃপরিচয় হিসেবে শফিকুল ইসলাম এর পরিচয় পাওয়া যায়।

ডিএনএ টেস্ট ও দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

এই মামলার রায় সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রংপুর পেশাজীবী ফোরাম এর সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শামীমা আকতার শিরিন এবং নারী উন্নয়ন নেত্রী শামসেআরা বিলকিস বলেন, আদালত এক যুগান্তকারী রায় দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই ধরনের রায় ধর্ষকদের কাছে আইনের সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেবে যা থেকে সমাজে নারীদের নিরাপত্তায় সাহসী উদ্যোগ হিসেবে কাজ করবে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ধর্ষকের ওয়ারিশ হিসেবে সম্পত্তির অংশীদারিত্বের রায় দিয়েছেন বিচারক।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে দলবল নিয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি

শেরপুরে এনসিপির ১৫ নেতার পদত্যাগ

পতাকা বৈঠক শেষে তিন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

মার্কিন নারীর শ্লীলতাহানির দায়ে যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ: স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক রনির বিরুদ্ধে মামলা

মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন ৫ দিনের রিমান্ডে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।