সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দুই বন্ধুর ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ | চ্যানেল খুলনা

দুই বন্ধুর ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ

ইমরান খান :: ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণে তৎকালীন মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন মাগুরার ভাষাসৈনিক জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘যেহেতু মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। তাই মুসলিম লীগ নেতারা আমাকে ভাষা আন্দোলন থেকে সরে যেতে বলেন। বাধ্য হয়ে মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করি, এরপর সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে মিছিলে যোগ দেই আমি।’
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেছেন মাগুরার শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খান জিয়াউল হক। তিনি ১৯৫০ সালে যশোর এমএম কলেজের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশব্যাপী ভাষা আন্দোলনের সময় খুলনার আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন তিনি। সে সময় সামনে থেকে যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তারই বন্ধু আমিনুল ইসলাম চান্দু মিয়াও আরেকজন সাহসী ভাষাসৈনিক। ভাষা আন্দোলনের সময় একসঙ্গে রাজপথে ছিলেন তারা, এমনকি একইসঙ্গে গ্রেফতারও হয়েছিলেন এই দুই বন্ধু।
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচারণসহ বিভিন্ন অনুভূতির কথা তুলে ধরা হলো-
তৎকালীন ছাত্র নেতা জিয়াউল হক বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের মিছিলে যাওয়া, মুসলিম ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করার কারণে পরে অনেক হয়রানি হতে হয়। মুসলিম লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বাধার কারণে একসময় যশোরের কলেজ ছেড়ে মাগুরার নিজের বাড়িতে চলে যাই। তখনও মাগুরায় তেমন কোনও আন্দোলন শুরু হয়নি। নাসিরুল ইসলাম আবু মিয়া সংগঠিত করছিলেন এখানকার সবাইকে। আমি ও চান্দু মিয়াও তার সঙ্গে কাজ শুরু করি। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঘটনা জানতে পেরে আমরা মাগুরার সংগঠক আবু মিয়ার সঙ্গে দেখা করি। সেখান থেকেই ঠিক করা হয়, পরদিনই মিছিল ও সমাবেশ করা হবে। সেদিন সকালেই সবাই সেগুন বাগিচায় একত্রিত হই। সেখানে আবু মিয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে আমরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে আসতেই পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অন্যরা নিরাপদ স্থানে সরে গেলেও আমি, জলিল খান এবং চান্দু মিয়া পুলিশের হাতে ধরা পড়ি। আমাদের পার্শ্ববর্তী জিআরও অফিসে বসিয়ে রাখা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হলে আমরা নোমানী ময়দানে আবারও একত্রিত হই।
৯০ বছর বয়সী খান জিয়াউল হকের প্রায় সমবয়সী বন্ধু আমিনুল ইসলাম চান্দু মিয়া সেদিনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি তখন বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। জিয়াউল হক মাগুরা এলে দু’বন্ধু মিলে আবু মিয়ার কাছে গেলাম। তিনি আমাদের পেয়ে খুব খুশি হলেন। ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় গুলি চালানো হলে আমরা মিছিল সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেই। সবাইকে সংগঠিত করা শুরু করি। পরদিন একটি বিশাল মিছিল নোমানী ময়দান থেকে বের হয়। চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছানো মাত্র পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাকে, খান জিয়াউল হক ও জলিল খানকে পুলিশ আটকে রাখে। বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাইরে মির্জা শওকত এবং আজিম দেওয়ান বিক্ষোভ করেন।’
চান্দু মিয়া আরও বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি এলেই সাংবাদিকরা আসেন, কথা বলেন, ভালোই লাগে। কিন্তু ভাষাসৈনিক হিসেবে আজ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের কোনও অনুষ্ঠানে ডাক পেলাম না।’
এ প্রসঙ্গে জিয়াউল হক বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম ভাষাসৈনিকদের গুরুত্ব দিচ্ছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন সমাহিত করা হয়, তেমনি ভাষাসৈনিকদেরও করা হোক।’ আর সঠিক ইতিহাস রক্ষার স্বার্থে ভাষাসৈনিকদের প্রকৃত তালিকা করা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।

https://channelkhulna.tv/

মাগুরা আরও সংবাদ

মাগুরায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও সচেতনতা শীর্ষক মহড়া অনুষ্ঠিত

মাগুরায় পাঁচ দিনব্যাপী জাতীয় ‘বি’ দাবা প্রতিযোগিতা শুরু

মাগুরায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

জুলাই পুনর্জাগরণ বৃক্ষরোপনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মাগুরা প্রেসক্লাব

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ থাকবে না: পীর সাহেব চরমোনাই

মাগুরায় ৬৬৭ জন জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।