সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
দাকোপের হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ। | চ্যানেল খুলনা

দাকোপের হাট বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ।

বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের আশে পাশের বিভিন্ন নদ-নদীতে অবাধে ধরা হচ্ছে নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ। এ মাছ আবার সুন্দরবনের উপকূলিয় অন্যান্য অঞ্চলের মতো খুলনার দাকোপের বিভিন্ন হাট বাজারেও প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। তবে এই মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ তা জানেন না বলে দাবী করেছেন বিক্রেতারা। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অসাধু জেলেরা এ মাছ শিকার করে থাকেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে শাপলাপাতা মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ শুধু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ থাকছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মাছটির আকৃতি শাপলা পাতার মতো হওয়ায় এটি শাপলা পাতা মাছ নামে পরিচিত। এছাড়া শাপলাপাতা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ষ্টিংরে ফিস। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) শাপলাপাতা মাছকে প্রায় বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অন্তরর্ভূক্ত করেছে।

বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির শাপলাপাতা থাকলেও বাংলাদেশে ৫৬ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ পাওয়া যায়। এই মাছ প্রজাতি ভেদে ৮০০ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। ২০১২ সালের বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী এই মাছ শিকার ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও সুন্দরবনের আশে পাশের বিভিন্ন নদ-নদীতে অসাধু জেলেরা ছোট বড় এ মাছ বরশি দিয়ে শিকার করছেন। এছাড়া শাপলাপাতা মাছ সাগরের গভীরে বিচরণ করলেও বংশ বিস্তারের সময় মাছগুলো তীরের কাছাকাছি আসে। আর আটকে পড়ে জেলেদের জালে। এ মাছ আবার সুন্দরবনের উপকূলিয় অন্যান্য অঞ্চলের মতো দাকোপ উপজেলা সদর চালনা বৌমার গাছতলা মাছ বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। সমুদ্রবেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের কাছে এই শাপলাপাতা মাছ খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয়।

এছাড়া প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে মাছটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ফলে ক্রেতারাও খুচরা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ক্রয়ে করছেন। স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও বনবিভাগের নিরব ভূমিকায় শিকার নিষিদ্ধ এ মাছের অবাধ বাজারজাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে সমুদ্রের জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নিষিদ্ধ শাপলাপাতা মাছ শিকার চলতে থাকলে এক সময় এ মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজমান।

চালনা বৌমার গাছতলা মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মাজেদুল ইসলাম শেখ জানান, খুলনার মাছের আড়ৎ থেকে ৫০০ কেজি পাইকারি দরে শাপলাপাতা মাছ কিনে এনে ৬০০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করছেন। তবে এই মাছ ধরা বা বিক্রি নিষিদ্ধ তা তিনি জানেন না।

উপজেলার শ্রীনগর নব জাগ্রত যুব সংঘের সভাপতি সমাজসেবক প্রসেনজিৎ রায় বলেন, বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের আশে পাশের নদ-নদীতে দিনের পর দিন এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় এই শাপলাপাতা মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতার কারণেই এ মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে না। জীববৈচিত্র রক্ষায় মারাত্মক ভুমিকা রাখা এই মাছের নিধন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, শাপলাপাতা মাছ একটি জন সম্পদ। এই জন সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্ব সকলেরই। জীববৈচিত্র রক্ষায় এই মাছ সংরক্ষনের প্রয়োজন।

এ বিষয়ে খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, শাপলাপাতা মাছ সারাদেশেই শিকার নিষিদ্ধ। এবিষয়ে প্রচার প্রচারণা করে জন সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া শাপলাপাতা মাছ শিকার বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে। আর যে সব বন কর্মকর্তা এ কাজে সহযোগিতা করেন খোঁজ খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

খুবিতে ল্যাবরেটরি ম্যানেজমেন্ট এন্ড সেফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

তালায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বিএনপি বেহেশতে যাওয়ার টিকিট বিক্রি করে না : এড. মনা

কেডিএ চেয়ারম্যানের খুলনা আর্মি ইউনিভার্সিটি পরিদর্শন

খুলনায় নকল ওষুধ বিক্রির দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা

খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।