যশোর জেলার অভয়নগর থানাধীন কুলটিয়া গ্রামে অবস্থিত মণীন্দ্র-পদ্মাবতী স্মৃতি গ্রন্থাগার কর্তৃক ডহর-মশিয়াহাটিতে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ক্ষতিগ্রস্ত ১৭ টি পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে একটি ইলেট্রিক রাইস কুকার, একটি মশারি ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে, ২০২৫ খ্রি. তারিখে আনুমানিক রাত আটটার দিকে মৎস্যখামারি ও কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডহর-মশিয়াহাটির ১৯/২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭টি বাড়ি শতভাগ ভস্মীভূত এবং ৩/৪ টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকারি, বেসরকারি, আঞ্চলিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। মণীন্দ্র-পদ্মাবতী স্মৃতি গ্রন্থাগারের “এই ক্ষুদ্র সংযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সামান্য সাহস জোগানোমাত্র”– বলেছেন মণীন্দ্র-পদ্মাবতী স্মৃতি গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধায়ক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস। মূলত তাঁদের ভাই-বোনের অর্থ সহায়তায় এই জনকল্যাণমূলক গ্রন্থাগারটি পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তিসহ নিয়মিতভাবে একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকাও এই গ্রন্থাগারের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত হয়। অঞ্চলের নানা কল্যাণমুখী কাজে প্রতিষ্ঠান-সংশ্লিষ্টদের রয়েছে বিশেষ অবদান।
সহায়তা প্রদান কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিশান্ত মণ্ডল, বাগডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কুলটিয়া ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র সভাপতি মোঃ হামিদুল ইসলাম, কবি ও অভিনেতা নিত্যজিৎ বিশ্বাস, শিক্ষিকা সুমনা বিশ্বাস, অধ্যাপক কনার মণ্ডলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক লেখক অধ্যাপক মিলন রায়। – বিজ্ঞপ্তি