ঝিনাইদহ সদরের গোপীনাথপুর গ্রামে একটি কাঠের ফার্নিচার কারখানা থেকে তাসলীমা খাতুন (৩৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী ও ফার্নিচার কারখানাটির মালিক লাল মিয়া (৪০) পালিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল বেলা ১১টার দিকে কাঠের ফার্নিচার কারখানায় স্বামী লাল মিয়াকে খাওয়ার জন্য ডাকতে যান স্ত্রী তাসলীমা খাতুন। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের অন্য সদস্যরা খোঁজাখুঁজির পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালাবদ্ধ কাঠের ফার্নিচার কারখানার ভেতরে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পরে পুলিশ এসে কারখানার তালা ভেঙে ভেতরের একটি চৌকির নিচে থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত তাসলীমার ছেলে রাজন হোসেন বলেন, ‘আমি সকালে মায়ের সঙ্গে দেখা করে অফিসে চলে যাই। দুপুরবেলা আমার বোন আমাকে ফোনে বলে, মায়ের ফোনে কল ঢুকছে না। আমি অফিস থেকে এসে দেখি, মায়ের ফোন বাড়িতে রয়েছে। এ সময় বাবার ফোনে কল দিলে সেটিও বন্ধ পাই। পরে কারখানায় গিয়ে দেখি, তা তালা দেওয়া।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, লাল মিয়া মাদকাসক্ত। এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হতো।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছি। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত ব্যক্তির স্বামীকে আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। তবে হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।’
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিহত নারীর ছেলে রাজন হোসেন তাঁর বাবা লাল মিয়ার নামে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।