নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের শুরুটা জয় দিয়েই করতে চেয়েছিলেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। দলের এই চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই বল হাতে পারফর্ম করলেন বোলাররা। তাতে নাগালের মধ্যেই আটকে রাখা গেছে পাকিস্তান নারী দলকে। শুরুর ম্যাচে জয়ের জন্য বাংলাদেশ নারী দলকে তুলতে হবে ১৩০ রান।
প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট নিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। ফিরিয়ে দিয়েছিল ওমাইমা সোহেল ও সিদরা আমিনকে। ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলার আগেই যখন এই দুই ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন স্কোরবোর্ডে তখন পাকিস্তান নারী দলের রান—২ উইকেটে ২!
শুরুতেই এমন ধাক্কায় শ্লথ হয়ে যায় পাকিস্তানের রান তোলার গতি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও ১০ ওভারে আসে মাত্র ৪১ রান। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে এরপর যখন রানের চাকা সচল করার তাগিদ তখনই বাধা হয়ে দাঁড়ান আরেক আক্তার—নাহিদা। তিন রানের ব্যবধানে তিনি ফিরিয়ে দেন মুনিবা আলী (১৭) ও রামিন শারমিনকে (২৩)। আউট হওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ৪২ রান যোগ করেন তারা। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকেন পাকিস্তানের মেয়েরা। ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে এসে অধিনায়ক ফাতিমা সানা ৩৩ বলে ২২ রান করলেও ১২৯ রানে থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তারের পর আরেক আক্তার স্বর্না তাঁর দুর্বোধ্য স্পিনে ৩ উইকেট তুলে নিলে পাকিস্তানের ৩৮.৩ ওভারেই অলআউট।
তবে ফাতিমা সানা নন, পাকিস্তানের ইনিংস সর্বোচ্চ স্কোরার রামিন শামীম। ৩৯ বলে তাঁর ২৩ রানের ইনিংসটিতে আছে ২টি চার।
প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নিয়ে শুরু করলে বল হাতে সবচেয়ে সফল স্বর্না আক্তার। কিপটে বোলিংয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি; রান দিয়েছেন মাত্র ৫টি। তাঁর বোলিং বিশ্লেষণ—৩.৩-৩-৫-৩! ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা ও মারুফা।