চোরাচালানি লিটন রায় (৫০) তার জুতার ভেতরে স্কচটেপ দিয়ে বিশেষ কায়দায় রেখেছিলেন ১২টি স্বর্ণের বার। যার ওজন এক কেজি ৩৯৭ গ্রাম, দাম প্রায় ২ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
সোমবার সকালে যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) সদস্যরা লিটন রায়কে আটক ও স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করেছে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামি ও জব্দকৃত স্বর্ণ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিজিবির কাছে তথ্য ছিল সোমবার সকালের যেকোনো সময় নড়াইল থেকে যশোরের দিকে এক ব্যক্তি ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে স্বর্ণ নিয়ে যাবেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যশোর ব্যাটালিয়নের (৪৯ বিজিবি) হাবিলদার মুহাম্মদ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার নীলগঞ্জ ব্রিজের ওপর অবস্থান করেন।
হাবিলদার মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে ব্রিজের ওপর দিয়ে এক ব্যক্তিকে যেতে দেখেন। তারা ওই লোকটিকে থামতে বললে তিনি কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর তাকে পাকড়াও করে দেহ তল্লাশি করা হয়। এক সময় ওই ব্যক্তি বিজিবি সদস্যদের কাছে স্বীকার করেন- তার জুতার ভেতরে স্বর্ণের বারগুলো রয়েছে। পরে জুতা খুলে দেখা যায়, স্কচটেপ দিয়ে বিশেষ কায়দায় ১২টি স্বর্ণের বার রাখা হয়েছে।
এদিকে জব্দ বারগুলো স্বর্ণের কিনা সেটি যশোর শহরের বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সদস্যভুক্ত একটি দোকানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয় বিজিবি। এরপর লিটন রায়কে অভিযুক্ত করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন হাবিলদার মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম। পরে আসামিসহ স্বর্ণের বারগুলো আদালতে পাঠানো হয়।
আটক বিমল রায় ঢাকার সাভার থানার বিরুলিয়া এলাকার মধুসূদন রায়ের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার শাঁখারীবাজার এলাকায় বসবাস করেন।