খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের কান্ডারী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ছিলেন নির্ভীক, দৃঢ়চেতা, দায়িত্ববান, পরিশ্রমী, সৎ, আদর্শবান, ধার্মিক, কর্মীবান্ধব, সৃষ্টিশীল ও দূরদর্শী এক জননন্দিত রাষ্ট্রনায়ক।
মাতৃভূমির একাধিক চরম দুঃসময়ে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের পথে সব অনিবার্য সমস্যা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস, দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা তিনি অর্জন করেছিলেন অপার দেশপ্রেম এবং দায়িত্ব পালনের নিষ্ঠা থেকে। ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে এক দল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন এই ক্ষণজন্মা পুরুষ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ একটি যুগান্তকারী ধারণা, যা আমাদের জাতিগত পরিচয়ে নতুন এক মাত্রা যুক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর, যখন পুরো জাতি একটি সত্তার সন্ধানে ছিল, তখন জিয়া তাঁর সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদকে একটি বৃহত্তর দৃষ্টিকোণে উপস্থাপন করেছিলেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। তারপর ২৬ মার্চ বেতার কেন্দ্রের কর্মীদের সহায়তায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব পুরস্কার ‘বীর উত্তম’-এ ভূষিত হন। ১৯৭৮ সালের ০১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান নিজেকে চেয়ারম্যান করে একটি নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি গঠন করেন। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিএনপি ৩০০টির মধ্যে ২০৭টি আসনে জয়লাভ করে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের একটি নতুন জাতীয় পরিচয় হিসেবে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ প্রবর্তন করেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এঁর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গত দুইদিনে (শুক্র ও শনিবার) নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থানায়, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তুহিন বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন বাংলাদেশের মতো একটি বহুবচন সমাজে যেখানে মানুষ বিভিন্ন জাতিসত্তার এবং যেখানে তারা বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাস করে, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন জীবনধারা রয়েছে, সেখানে জাতীয়তাবাদকে ভাষা বা সংস্কৃতির পরিবর্তে ভূখণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা উচিত।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিল, বিএনপি ধসে যাবে। কিন্তু ধসে যায়নি। তাঁর অনুপস্থিতিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দায়িত্ব নিয়েছেন। আপসহীনভাবে স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্য দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ রকম নেত্রী বাংলাদেশে আর কেউ নেই। এখন জাতির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন তাদেরই সুযোগ্য সন্তান ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। ‘সবার আগে প্রিয় বাংলাদেশ’ স্লোগান ধরে তিনি এরই মধ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে এক বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় নগরীর শীতলাবাড়ি মন্দিরে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর থানা বিএনপি’র সভাপতি কে.এম হুমায়ুন কবির, এসময় উপস্থিত ছিলেন গাছতলা মন্দির কমিটির সভাপতি নির্মলেন্দু মন্ডল, শীতলাবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার ঘোষ, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মাসুদুল হক হারুন, সাধারণ সম্পাদক মেশকাত আলী, সত্যানন্দ দও, হিন্দু ধর্ম ট্রাষ্টি ডাঃ প্রদিপ দেবনাথ, সুজনা জলি প্রমূখ।
আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংসদ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনের ধানের শীষের কান্ডারি জননেতা শফিকুল আলম তুহিন।
জিয়া হল চত্বর: মহান স্বাধীনতার ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান-এঁর ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে জিয়া হল চত্বরে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মাঝে তাবারক বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারি শফিকুল আলম তুহিন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগরের ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারি জননেতা শফিকুল আলম তুহিন। তিনি উপস্থিত থেকে ক্যাম্প কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারী জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন। ক্যাম্পে বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা, ওষুধ বিতরণ করা হয়।
২১নং ওয়ার্ড বিএনপি: ২১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কে.এম হুমায়ুন কবির, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, শফিকুল ইসলাম শফি। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ শেখ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মোল্লা নূর ইসলাম, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, আলতাফ খান, জাহাঙ্গীর আলম, হাসান আলী বাবু, রুবেল জোমাদ্দার প্রমূখ।
সোনাডাঙ্গায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগরের নবপল্লী কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক, খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারি শফিকুল আলম তুহিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন হাফিজুর রহমান মনি, কে.এম হুমায়ুন কবির, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পি, শেখ আব্দুল আলিম, ওহিদুজ্জামান হাওলাদার, মৃধা আহসান খোকন, নাসরিন হক শ্রাবণী, কাদের মল্লিক, ইব্রাহিম হাওলাদার, রিয়াজুল কবির প্রমুখ।
