
অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’, ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চতকরণ’, করার এই ৫ দফা বাস্তবায়িত হলে জুলাই চেতনা বাস্তবায়িত হওয়ার পথ তৈরি হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গণমানুষের ৫ দফা মেনে নিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে তিনি আহ্বান জানান।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে খুলনা-৩ আসনের দৌলতপুর থানাধীন ১ নং ওয়ার্ডের মানিকতলা, খৃষ্টানপাড়া ও রানার মাঠ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় দৌলতপুর থানা সেক্রেটারি মাওলানা মহিউদ্দিন, ১ নং ওয়ার্ড আমীর রেজাউল কবির, ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমান স্বপন, জামায়াত নেতা মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাসানুজ্জামান, আরিফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, আলী আকবার, মীর হুমায়ুন কবির, সোহরাব হোসেন, সান্টু, আরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, রুম্মান, জয়নাল আবেদীন, দেলোয়ার হোসেন, আবু সাঈদ, মারুফ ও রাজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগকালে দোকানপাট, বাসাবাড়ি ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং “দাঁড়িপাল্লা” প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হলে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন, ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও জনসেবায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। গণসংযোগে বিপুল সংখ্যক জনগণের উপস্থিতি ও আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
খুলনা-৩ আসনের এই এমপি প্রার্থী আরও বলেন, ৫ দফা বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তী যারাই সরকার গঠন করবে তারা আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করবে। একটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারা মূলত চায় না জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। কারণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া হলে, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তারা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে পারবে না। এজন্য তারা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে সহযোগিতা করছে না। গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ ভূমিকা পালন করেনি। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং জুলাই যোদ্ধারা। জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হলে জাতি নতুন বাংলাদেশ পাবে। নতুবা জাতি বিপর্যস্ত হবে, আবারো বাংলাদেশ পথ হারাবে


