
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, প্রতিবছর বেদনাভরে আমরা এই দিবসটি পালন করে থাকি। জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী ও সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করে আজকের দিনে। তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূণ্য করতে। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাঁধাগ্রস্থ হয় এটাই ছিলো পাকিস্তানিদের চক্রান্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা প্রায় ১১শো এগারোর মতো জাতির বীর শ্রেষ্ঠসন্তান বুদ্ধিজীবীদেরকে হরিয়েছি। যুগযুগ ধরে যারা এদেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন তাদেরকে থামিয়ে দেওয়ার জন্য আগেও অভিযান ছিলো বর্তমানেও আছে। জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান সকল বুদ্ধিজীবীদের অবদান বাংলাদেশের জন্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরদিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুব রহমান, জেলা প্রশাসক কার্যলয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) কানিজ ফাতেমা লিজা, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.হ.ম রুহুল আমীন ও আহবায়ক খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোঃ আবু জাফর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


