জাতীয় ছাত্রশক্তির খুলনা জেলা কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংগঠনের ভেতরে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পক্ষপাতদুষ্ট ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় কমিটি ঘোষণার অভিযোগ এনে জেলা কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ঘোষিত জেলা কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে—গঠনতন্ত্র অবমাননা, স্বাভাবিক সাংগঠনিক প্রক্রিয়া উপেক্ষা এবং পকেটনির্ভর নেতৃত্ব চাপিয়ে দেওয়ার। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত প্রতিবাদ জানান।
জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্ররাজনীতিতে যে নতুন পরিবর্তন ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলার সূচনা হয়েছিল, তা উপেক্ষা করে খুলনা জেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যোগ্য, পরিশ্রমী ও সক্রিয় ছাত্রদের মূল্যায়ন না করে চাপিয়ে দেওয়া এ ধরনের কমিটি কখনোই সংগঠনের অগ্রযাত্রা এগিয়ে নিতে পারে না।”
প্রতিবাদলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘোষিত কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য ইতোমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও স্পষ্ট করে।
নেতারা অভিযোগ করেন, কমিটি ঘোষণার প্রক্রিয়ায় স্থানীয় নেতৃত্বের মতামত নেওয়া হয়নি, বরং গঠনতন্ত্র বিরোধীভাবে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে দাবি জানানো হয়েছে— ঘোষিত খুলনা জেলা কমিটি অবিলম্বে, অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্থগিত করতে হবে। অন্যথায় নেতা–কর্মীরা সংগঠনের স্বার্থে “কঠোর ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত” নিতে বাধ্য হবেন বলে উল্লেখ করেছেন।
জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন মহরম হাসান মাহিম।
এ ছাড়াও অনুলিপি পাঠানো হয়েছে—
সাংগঠনিক সম্পাদক (দক্ষিণ অঞ্চল), জাতীয় ছাত্রশক্তি
বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় ছাত্রশক্তি
ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের কাছে
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


