
কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনায় আহত আব্দুল খালেক (৫০) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে রংপুরের তারাগঞ্জের হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামে।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে শুক্রবার সকালে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনতা শনিবার বেলা ২টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে আব্দুল খালেকের ভাই আব্দুল ছালেক তাঁর দাদির কবর জিয়ারত করতে গিয়ে দেখেন যে কবরের মাটি উত্তোলন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আব্দুল ছালেক কবরস্থানের পাশের বাসিন্দা বাবু মিয়া ও লেবু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় বাবু মিয়া, লেবু মিয়া, চাঁন মিয়া, দুলাল মিয়া, আশেকুর রহমান, আব্দুল জব্বার, আবেদা বেগম, সোহানা বেগম ও তানিয়া বেগম দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হন আব্দুল ছালেক।
খবর পেয়ে আহত আব্দুল ছালেককে উদ্ধার করতে যান তাঁর দুই ভাই আব্দুল খালেক ও মাহবুবার। এরপর তাদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে খুন্তি দিয়ে আব্দুল খালেকের মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে মগজ বেরিয়ে যায়। শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল খালেক মারা যান।
নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে আহাজারি করে বলেন, ‘আমার স্বামী নির্দোষ। কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব নাই, হামার কাম করি দিন যায়। ওরা আমার স্বামীকে নির্মমভাবে বিনা দোষে মারল, সন্তানদের এতিম করল, আমি তাদের ফাঁসি চাই।’
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মহাসড়ক থেকে জনতাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’


