
মাগুরা সদর উপজেলা ভূমি অফিসের নিচতলার পূর্ব পাশের একটি কক্ষে এবং জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গত শনিবার শেষ রাতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাগজপত্র, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী পুড়ে গেছে।
দুর্বৃত্তরা কক্ষটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বোতল ভর্তি পেট্রল উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,ভোররাতে ভূমি অফিসের নৈশপ্রহরী মাসুদ পারভেজ বিকট শব্দ শুনে ও কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে ৯৯৯ তে ফোনদিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বোতল ও পেট্রল উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে একই রাতে মাগুরা জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়েও দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়। এতে দলিল লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে প্রথমে তারা সদর উপজেলা ভূমি অফিসে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এরপর কিছু সময় পর পুনরায় ফোনকল পেয়ে মাগুরা জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
আগুনে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাগজপত্র, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার সঠিক কারণ নিশ্চিত করা যায়নি। আগুনের দুটি ঘটনার স্থানই শহরের প্রাণ কেন্দ্রে। তদন্ত শেষে আগুন লাগার মূল কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা প্রশাসক আব্দুল্লা আল মাহমুদ বলেন, আগুনে যে নথিগুলো পুড়ে গেছে, সেগুলো বিভিন্ন মামলার নথিপত্র। কাগজপত্রগুলো পুনরায় উদ্ধার বা রিকভার করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এরই মধ্যে কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সদর এসিল্যান্ড অফিসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং কারা আগুন দিয়েছে, তা জানা যাবে। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘যিনি নৈশপ্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


