স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্তে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আমাদের বর্ডার সম্পূর্ণ নিরাপদ (সিকিউর)। এখানে কোনো ধরনের কোনো সমস্যা নেই। কৃষকেরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মোখলেসপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ধান কর্তন উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
পরে উপদেষ্টা কৃষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সময় তিনি বলেন, লিচুতে অনেক সময় বেশি কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। যেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে কীটনাশক প্রয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি। কৃষকদের উদ্দেশে বলেন, লিচু যখন পেকে যাবে, তখন আপনারা কীটনাশক প্রয়োগ করবেন না। এটা মানুষের জন্য চরম ক্ষতিকর।
সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উঠান বৈঠক করার কথাও বলেন উপদেষ্টা। এ সময় তিনি বলেন, উঠান বৈঠকের জন্য অনেক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘উঠান বৈঠকের টাকা পকেটে ঢুকাবেন না।’
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে সাড়ে সাত কোটি লোক ছিল। কৃষিজমি বেশি ছিল। এখন প্রায় ১৮ কোটি লোক, কৃষিজমির পরিমাণ কমেছে। তারপরও উন্নতজাতের ধান এবং কৃষকদের কঠোর পরিশ্রম, বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে আমাদের উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর আমাদের আমদানি করতে হয়নি। এবারও উৎপাদন ভালো হয়েছে। আমাদের হয়তো আমদানি করতে হবে না।’
কৃষি উপদেষ্টা বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ যেন পানির বিল কমিয়ে নেয়, সে জন্য বরেন্দ্র চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
কৃষিজমি কমে আসছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভূমি ব্যবহার নীতিমালায় নতুনভাবে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করার চিন্তা চলছে। এটা কিছু দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। ইটভাটা যেন না চলে সেগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, কৃষিভিত্তিক কিছু শিল্পকারখানা হয়েছিল। কিন্তু টেকানো যায়নি। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সাহেবেরা লোন নিয়ে টাকা–পয়সাসহ পালিয়ে গেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব এমদাদুল্লাহ মিয়ান, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান, ব্যস্থাপনা পরিচালক তরিকুল আলমত, প্রকল্প পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।