
নিজেদের কাজটা গতকালই সেরে রেখেছিল রংপুর। কেবল তাদের চোখ ছিল সিলেট-বরিশাল ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচের ফলাফল আকবর আলীর দলের পক্ষে এসেছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২৭তম আসরের শিরোপা জিতেছে উত্তরের দলটি। এর আগে সবশেষ ২০২২ সালের আসরে এনসিএলের শিরোপা জিতেছিল রংপুর।
ষষ্ঠ রাউন্ডে চট্টগ্রামের কাছে হেরে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল রংপুর। শিরোপা জেতার জন্য তাই শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারানোর বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। এমন সমীকরণে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরের। তবে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে রূপসা পাড়ের দলটিকে ৭ উইকেট হারায় তারা। তাতে শিরোপার সমীকরণ কঠিন হয়ে যায় সিলেটের জন্য।
শেষ রাউন্ডে রংপুর জেতায় বরিশালের বিপক্ষে জিততেই হতো সিলেটকে। এই সমীকরণ মেলাতে পারেনি জাকির হাসানের দল। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ড্র হয়েছে দুই দলের লড়াই। তাই রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে সিলেটকে। ৩২০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ড্র হওয়ার আগে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তোলে তারা। ৬১ রান করেন আসাদুল্লা আল গালিব। ৫৩ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসে বরিশালের ৩১২ রানের জবাবে ২৮৭ রানে অলআউট হয় সিলেট। ইফতেখার হোসেন ইফতির সেঞ্চুরিতে ২৯৪ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতি। ৪৩ রান আসে হাফিজুর রহমানের ব্যাট থেকে। সবকটি রাউন্ড শেষে সিলেটের সংগ্রহ ২৮ পয়েন্ট। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন রংপুর।
২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে শেষ রাাউন্ডে মাঠে নামে নবাগত ময়মনসিংহ। শিরোপা জেতার ভালো সম্ভাবনা ছিল তাদের সামনেও। কিন্তু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ন্যূনতম লড়াই করতে পারেনি তারা। ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে ময়মনসিংহ। ৪২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮১ রানে থামে তাদের ইনিংস।
১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন আবু হায়দার রনি। দল হারায় বৃথা গেল তাঁর সেঞ্চুরি। আরও একবার বল হাতে জাদু দেখালেন সানজামুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও তাঁর শিকার ৫ উইকেট। ৮৮ রান খরচ করেছেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।


