বাগেরহাটের এক আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর বিরুদ্ধে পারিবারিক সকল সম্পত্তি দখল ও ওয়ারেশদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন খুলনা সিটি ল কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ আকিব মুনসুর।
লিখিত বক্তব্যে আকিব মুনসুর জানান, তার চাচা অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাহিদ হোসেন বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক এপিপি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের পৈতৃক ও নিজস্ব ক্রয়কৃত জমি দখল করে রেখেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার চাচা ধাপে ধাপে তাদের দাদা সৈয়দ মুনসুর আলীর সকল জমি নিজের দখলে নেন এবং জমির আয় ও ফসলাদি আত্মসাৎ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক প্রভাবে তিনি আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর মাছের ঘের, মুরগির খামার ও গরুর প্রকল্প দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে ২ কোটিরও বেশি টাকা বিনাসুদে ঋণ নেন। কিন্তু সেই টাকা অন্য খাতে ব্যবহার করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করেননি। আট বছর ধরে তিনি অন্যদের জমি জোরপূর্বক দখলে রেখে সরকারি ঋণও পরিশোধ করেননি বলে অভিযোগ করেন আকিব।
আরও বলা হয়, বসতবাড়ি, পুকুর, বাগান, কৃষিজমি, এমনকি বসতবাড়ি সংলগ্ন একমাত্র চলাচলের রাস্তা এবং পানি সরবরাহের খালও তিনি দখল করে প্রকল্পের অংশ বানিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯ সালে দাদী সুলতানা বেগমের মৃত্যুর পর তার ১৫ বিঘা জমি দখল করেন। এছাড়া সুলতানা বেগম ও ছোট দাদী হাসিনা খন্দকারের নামে থাকা ১৯ বিঘা জমি বিক্রি করে ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলা হয়।
আকিব অভিযোগ করেন, জমি ফেরতের দাবি করলে তার পরিবার প্রাণনাশের হুমকি পায়। বর্তমানে তিনি পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মা ও বোন প্রায়ই হামলা ও মারধরের শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার মা লাকি বেগম এবং নবম শ্রেণির ছাত্রী ছোট বোন ফাতেমা খাতুন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাহিদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।