সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
অনাবৃষ্টিতে আমের গুটি ঝরে পড়ায় আশঙ্কা | চ্যানেল খুলনা

অনাবৃষ্টিতে আমের গুটি ঝরে পড়ায় আশঙ্কা

চাঁপাইনবাবগঞ্জকে কেউ বলেন আমের জেলা, কারও কাছে মনে হয় এটা আমের রাজধানী। এখন সেই আমের রাজধানীর সবখানেই গাছের মুকুল থেকে ইতোমধ্যে বের হয়েছে আমের গুটি। তবে গাছে গাছে গুটি দেখা গেলেও দীর্ঘ ৫ মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন আম চাষি ও বাগান মালিকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে প্রায় ৯৮ ভাগ গাছেই মুকুল এসেছে। আর জেলার ৫ উপজেলায় আমবাগান রয়েছে ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর এবং গাছের সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ।

জানা গেছে, জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল হওয়ায় এই আমকে ঘিরেই এ অঞ্চলের মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের মুখে যেন হাসি নেই।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর, নয়াগোলা, কোর্ট এলাকা, শিবগঞ্জ, বিরামপুর মরদানাসহ বেশ কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছগুলোতে এখন আম শোভা পাচ্ছে। কোনটি আকারে ছোট, আবার কোনটি একটু বড়। বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি স্বাভাবিক কারণে বড় হচ্ছে না। এতে করে আমচাষিসহ বাগান মালিকদের ভাবিয়ে তুলেছে।
শাহাজাহান আলী নামে এক আম ব্যবসায়ী জানান, এবছর আমের গুটি ভালোই এসেছে, তবে গত বছরের অক্টোবর মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

অপর আমবাগান মালিক মতিউর রহমান জানান, এবছর পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছিল। আর সময়মত গুটি আসায় আশার সঞ্চার জেগেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় বেশ চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তবে সামর্থ্য অনুযায়ী আমগাছে পানি দিয়ে স্প্রে এবং গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, এবার গাছে গাছে ভালো মুকুল আসার পাশাপাশি গুটিও সময়মত এসেছে। তবে গত ৯ অক্টোবর থেকে এ জেলায় এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। এ মুহূর্তে বৃষ্টি হলে ফলন ভালো হবে, না হলে আম উৎপাদনে ব্যাহত হতে পারে। যদিও খরচ বেশি পড়বে, তারপরও আমচাষিদের গাছে পানি দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দিন জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এখন পর্যন্ত এ জেলায় বৃষ্টি নেই। পানির জলাধার থেকে সেচের মাধ্যমে গাছ স্প্রে করলে আমের গুটি রক্ষা পাবে। খরার কারণে গাছগুলো পানি শুন্য হয়ে পড়ছে, সেহেতু গাছের গোড়া একটু গর্ত করে পানি দিলে গাছগুলো পানি শুন্যতা থেকে রক্ষা পাবে। আমের উৎপাদনও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

https://channelkhulna.tv/

সারাদেশ আরও সংবাদ

হাদির ওপর হামলাকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার

ঢাবি শিক্ষকদের হেনস্তার পর ধাওয়া দিলেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক

বাসা থেকে জিনিসপত্র চুরির সময় ধস্তাধস্তিকালে মা-মেয়েকে খুন করেন আয়েশা: পুলিশ

ইয়াবাসহ দুলাভাই-শ্যালিকা গ্রেপ্তার

বেগম রোকেয়াকে ‘কাফির-মুরতাদ’ বললেন রাবি শিক্ষক মাহমুদুল

পশ্চিম সেওতায় পাঁচ যুগের সংযোগ সড়ক বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।