সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ২৭শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ১১ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪০ মণের নুন্টু খায় চা-বিস্কুট ও ফলমূল | চ্যানেল খুলনা

৪০ মণের নুন্টু খায় চা-বিস্কুট ও ফলমূল

শেখ মাহতাব হোসেন:: খুলনার ডুমুরিয়ার দক্ষিণ মিল্কি মিল গ্রামে ৪০ মণের গরু নুন্টুকে লালন পালন করছেন স্কুল শিক্ষক মোজাহার আলী। খুলনা জেলায় এখন পর্যন্ত এটিই সর্ববৃহৎ গরু। নুন্টু গরুটি চা-বিস্কুট, কোমল পানীয় ও সব ধরনের ফলমূল খায়। ডাকলে ইশারায় জবাবও দেয়। সন্তানের মতো আদর আর যত্নে লালন-পালন করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান প্রজাতির গরু নুন্টুকে। চার বছর এক মাস বয়সী গরুটির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ১০ ফুট আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৬০০ কেজি বা ৪০ মণ। খুলনার সেরা এই গরুটিকে দেখতে দূর- দুরান্ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসছেন।

গরুর মালিক মোজাহার আলী বলেন, শখের বসে বিগত চার বছর ধরে ছেলে-মেয়ের মতো নুন্টুকে লালন-পালন করেছি। শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী গরুটির যত্ন সবচেয়ে বেশি করে। আমার ছেলে-মেয়েরাও বাড়িতে থাকলে অত্যন্ত যত্ন করে। আমরা যা খাই গরুটিও তার ভাগ বসায়। ছেলে-মেয়েদের চকলেট, বিস্কুট, পানীয়সহ সবকিছুতেই ভাগ বসায় নুন্টু।

গরুর নাম নুন্টু রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে এই গরুটির মাকে কিনেছিলাম। ছেলে-মেয়েরা ওর মাকে ঘণ্ট বলে ডাকতো। এক বছর পরে একটি বাছুর জন্ম দেয়। আদর করে তাকে ছেলে- মেয়েরা নুন্টু বলে ডাকে। এরপরে আরও দুটি বাছুর হয়েছিল। তাদের একটি নাম ঝন্টু ও আরেকটির নাম মন্টু ছিল। সেই দুটি গরু বিক্রি করে দিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আদর করে নুন্টু বলে ডাকি, নাম ধরে ডাক দিলেই গরুটি সাড়া দেই, ইশারায় জবাবও দেওয়ার চেষ্টা করে।

মোজাহার আলী আরও বলেন, নুন্টুকে লালন-পালনে গত চার বছরে আমার ৭ লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। গমের ভুসি, ভুট্টার আটা, সয়াবিন খৈল, চাউলের কুড়াসহ তাকে নেপোলিয়ন ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়। এসব খাবারের দাম বেশি হওয়ায় অনেক সময় তাকে পালনে হিমশিম খেতে হয়েছে। গরু বিক্রির জন্য ভালো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই রাজধানীর গাবতলীর কোরবানি পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে ন্যায্যমূল্য মিলবে বলে আমার প্রত্যাশা। ৪০ মণের নুন্টুকে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করলেও তেমন একটা লাভ হবে না, তবুও ১০ লাখ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করে দেব।

শিক্ষক মোজাহার আলীর স্ত্রী রুমিচা বেগম বলেন, করোনার মধ্যে ২০২০ সালের মে মাসে নুন্টুর জন্ম হয়েছিল। গরুটি আমাদের খুবই আদরের। আমরা যাই খাই না কেনো নুন্টুকে ভাগ দিতে হয়।

গরুটিকে কোনো কৃত্রিম খাবার বা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। দেশীয় খাবার দিয়ে তাকে বড় করা হয়েছে। স্পেশাল হচ্ছে গরুটি চা, বিস্কুট, পান, পানীয় খায়। সে আম খেয়ে আটি ফেলে দেয়। শুধু আমই নয়, খেজুর, জামরুল, পেয়ারাসহ এমন কোনো ফল নেই যে গরুটি খায় না। আমার ছেলে-মেয়ে যা খায় নুন্টুও তাই খায়। নুন্টুকে বিক্রির কথা বলতেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন মনে হচ্ছে আমার তিনটি সন্তান নয়, চারটি সন্তান। যার একটি নুন্টু। আমি যদি বলি যে ময়না ঘুমিয়ে পড়ো বা শুয়ে পড়ো, গরুটি শুয়ে পড়ে।

https://channelkhulna.tv/

খুলনা আরও সংবাদ

খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে যুবকের মৃত্যু

তেরখাদায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

খুলনার সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা

ডুমুরিয়া জলাবদ্ধতা নিরাসনে সরজমিনে পরিদর্শন করেন

টানা বৃষ্টিতে খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসের ছাদ ধসে শতাধিক রেকর্ড বই ক্ষতিগ্রস্ত

পাইকগাছায় অস্ত্র, ককটেল ও মাদকদ্রব্য সহ আটক-৩

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।