ক্রিকেটার মোহাম্মদ শামির ক্যারিয়ার যেভাবেই চলুক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নেই শান্তিতে। ২০১৮ সাল থেকে স্ত্রী হাসিন জাহানের কাছ থেকে দূরে থাকলেও শামির জীবনের ঝামেলা শেষ হচ্ছে না। শুধু জরিমানাই গুনে চলেছেন ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার।
স্ত্রী ও কন্যার ভরণপোষণ খরচ মিলে প্রতি মাসে শামিকে ৪ লাখ রুপি করে দেওয়ার নির্দেশ গতকাল দিয়েছেন কলকাতা আদালত। শামি ও তাঁর স্ত্রী সাত বছর ধরে আলাদা থাকছেন। আইনি লড়াই চলা অবস্থায় প্রতি মাসে এই পরিমাণ অর্থ ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারকে দিতে হবে বলে জানিয়েছে ভারতের বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)। জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির আজকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রত্যেক মাসে ৬ লাখ রুপি করে জরিমানা দেওয়া লাগতে পারে শামির।
৪ লাখ রুপি জরিমানা কীভাবে দেবেন শামি, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন হাসিন জাহানের আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ। বার্তা সংস্থা এএনআইকে ইমতিয়াজ বলেন, ‘২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। আদালতে প্রকাশ্যে গতকাল জানিয়েছেন প্রতি মাসে দেড় লাখ রুপি করে শামি দেবেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহানকে। আর মেয়েকে প্রতি মাসে দিতে হবে ২ লাখ ৫০ হাজার রুপি করে দিতে হবে শামিকে। এই সময়ে কোনো বাড়তি সাহায্য-সহযোগিতার দরকার হলে সেটাও দিতে হবে শামিকে। ট্রায়াল কোর্টকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের মূল আবেদনটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। শুনানি কার্যক্রমের জন্য যখন তারা ট্রায়াল কোর্টে ফিরবেন, তখন খরচটা ৬ লাখ টাকা হতে পারে। কারণ, হাসিন জাহানের ভরণপোষণের আবেদনে ৭ লাখ ও ৩ লাখ রুপি দাবি করা হয়েছিল।’
২০১৪ সালে হাসিনকে বিয়ে করেছিলেন শামি। ২০১৮ সালে শামির বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ সহিংসতার অভিযোগ করেছিলেন। শামি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে তখন একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন হাসিন। তখন প্রতি মাসে সাত লাখ রুপি করে দাবি করেছিলেন হাসিন। আদালত তার আবেদন শুনে তাঁর মেয়ের জন্য ৮০ হাজার রুপি দিয়েছিলেন। শামি-হাসিনের ডিভোর্স হয়েছে কি হয়নি, সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শামি সবশেষ খেলেছেন এ বছরের ৯ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে। দুবাইকে কিউইদের হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে ভারত। সেই টুর্নামেন্টে শামি নেন ৯ উইকেট। পরবর্তীতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলে সময়টা ভালো যায়নি তাঁর। নিজে খরুচে বোলিং করেছেন। দলও প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে যায়।