সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সেই বাঁচার যন্ত্রণা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি : প্রধানমন্ত্রী | চ্যানেল খুলনা

সেই বাঁচার যন্ত্রণা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট পিতাসহ পরিবারের সদস্যদের হারানো এবং বোন শেখ রেহানাসহ নিজে বেঁচে থাকার যন্ত্রণা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

১৫ আগস্টের সেই ভয়াল স্মৃতিকে স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করি এটা আমাদের দুর্ভাগ্য ছিল। আমি দেশ ছেড়ে গিয়েছিলাম দুটি বাচ্চাকে নিয়ে আর রেহানাকে (বোন শেখ রেহানা) সঙ্গে নিয়ে স্বামীর কর্মস্থলে। আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম, সেই বাঁচাটা বাঁচা না। সেই বাঁচার যন্ত্রণাটা মৃত্যু থেকে অনেক বেশি। ছয় বছর দেশে আসতে পারি নাই। অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে আশ্রয় নিয়ে থাকতে হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আওয়ামী লীগের কাছে। আমাকে প্রথম যখন নির্বাচিত করল, আমি তখন গ্রহণ করতে পারি নাই। কাজ করেছি, থেমে থাকিনি। ’৭৯ সালে রেহানা প্রথম সভা করে প্রতিবাদ করেছিল সুইডেনে। সেই রাজনৈতিক সভা রেহানাই প্রথম শুরু করে। ’৮০ সালে আমি লন্ডন যাই। সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করি, এই হত্যার প্রতিবাদ করা শুরু করি।’

‘একটা ইনকোয়ারি কমিশনও করি। কিন্তু সেই কমিশনের স্যার টমাস ইউলিয়ামস কিউসি এমপি, তিনি কুইন্স কাউন্সিলর ছিলেন, তাকে কিন্তু জিয়াউর রহমান ভিসা দেয়নি আসতে, তদন্ত করতে। আমাদের বাড়িতে যারাই ছিল সব কয়জন এই খুনের শিকার’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে দেখাতে চেয়েছিল একটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি সেই বিজয়ের প্রতিশোধ নেয়া এবং সেই বিজয়কে ধূলিসাৎ করে দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের আবার পুনর্বাসিত করা, আবার পাকিস্তানি ভাবধারাদের নিয়ে আসাই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, “যে কারণে এই খুনিরা এই হত্যার পরপর ঘোষণা দিয়েছিল ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’, যেটা পরিবর্তীতে আর তারা রাখতে সাহস পায় নাই। দুঃখের বিষয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তারা তো চেনা। বাংলাদেশ খুব ছোট জায়গা। দিনরাত আমাদের বাড়িতেই যারা ঘোরাঘুরি করত তারাই তো সেই খুনি রূপে আসল।’

মেজর জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একজন মেজর ছিল, তাকে প্রমোশন দিয়ে দিয়ে মেজর জেনারেল করা হয়েছিল। বোধহয় মাসে একবার করে হলেও সে আমাদের বাসায় আসত। কখনও একা বা কখনও খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। কারণ খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসলে মার সঙ্গে দেখা করার উছিলায় ওপরে আসতে পারত। আমাদের ওই লবিতে দুটো মোড়া পেতে বসত। ঘনঘন তার যাতায়াত ছিল।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এরাই এই হত্যাকাণ্ডটা চালাল, মোস্তাক তো মন্ত্রী ছিল। পরবর্তীতে অনেক চেহারা আপনারা দেখেছেন, যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছে। অনেক বড় বড় নীতির কথা এখন বক্তৃতায় শোনায়, তারা কী ছিল? তারা কী এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিল না? তারা ভেবেছিল এইভাবেই বোধহয় ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে। তারা ক্ষমতায় টিকিনি।’

তিনি বলেন, ‘মোস্তাক নিজেকে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণ দেয়ার পরপরই জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করল। জিয়াউর রহমান কীভাবে তার এত বিশ্বস্ত হলো যে তাকেই সেনাপ্রধান করল? সেটা কর্নেল ফারুক-রশীদ বিবিসিতে যে ইন্টারভিউ দিয়েছিল, সেই ইন্টারভিউ থেকেই আপনারা জানতে পারেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা যে জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, জিয়ার কাছ থেকে তারা ইশারা পেয়েছে এবং জিয়া যে তাদের আশ্বস্ত করেছে; এগুলো করলে পরে সমর্থন পাবে সেটা তো তারা নিজেরাই বলে গেছে। এরা কারা ছিল? এরা কি স্বাধীনতা চেয়েছিল? এরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করত? এরা কি যে নীতিমালা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল তাতে বিশ্বাস করত? তারা তা করত না।’

আলোচনা সভা সঞ্চালন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন।

আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

https://channelkhulna.tv/

জাতীয় আরও সংবাদ

‘শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে’

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের ফলপ্রসূ বৈঠক

এমন দেশ গড়তে চাই, যা নিয়ে গর্ব করা যায় প্রধান উপদেষ্টা

অপরাধ করলে রাজনৈতিক পরিচয় দিলেও ছাড় দেওয়া হবে না: আইজিপি

মন্দিরে হামলা করলে দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে কোনো দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা বা প্রতিমা ভাঙচুর করতে এলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার পরামর্শ দিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আফম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো মন্দিরে ভাঙচুর বা হামলা হলে প্রচলিত আইনে দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে সরকার। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে শুভেচ্ছা বক্তৃতায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশ আমাদের সবার। আমরা একটি পরিবারের মতো। আমাদের সবার সাংবিধানিক অধিকার সমান। দেশের ভাবমূর্তি যাতে নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা ও উজ্জ্বল করার দায়িত্ব সব ধর্মের মানুষের। তিনি বলেন, পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। কোনো দুর্বৃত্ত পূজামণ্ডপে হামলা কিংবা প্রতিমা ভাঙচুর করতে এলে তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে। সরকার প্রচলিত আইনে এই দুর্বৃত্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। আমরা সবাই প্রচণ্ড রকম আত্মকেন্দ্রিক। আমরা অন্যদের অন্তরে স্থান দিতে পারি না। আমাদের অন্তরকে বড় এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। আমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকার দুর্গাপূজাতে মণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুই কোটি বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এ বছর চার কোটি বরাদ্দ দিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারে, সে বিষয়ে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু ধর্ম ও গোত্রের মানুষের সমন্বয়ে একটি বৈচিত্র্যময় দেশ। একটি বাগানে নানা প্রজাতির ফুল থাকলে বাগানটি যেমন দৃষ্টিনন্দন ও বৈচিত্র্যময় হয়ে ওঠে। বাংলাদেশও ঠিক মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্মিলনে বৈচিত্র্যময়। আমরা এই সৌন্দর্যকে লালন করতে চাই। আমরা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে দৃঢ় করতে চাই। খালিদ হোসেন বলেন, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সবার অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, গুলশান বনানী পূজা ফাউন্ডেশনে সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার জোয়ার্দারসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে: তারেক রহমান

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।