জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, ‘এনসিপি মনে করে, একটি গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন সংবিধান ও নতুনভাবে লিখিত ধারা-উপধারা ও অনুচ্ছেদের মধ্য দিয়ে যে সংশোধনী ও সংস্কার প্রস্তাবে একমত হয়েছি, সেগুলো টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।’
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা করছি। আমরা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তার একটি হলো, যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, সেগুলো অর্ডিন্যান্স অথবা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
‘কিন্তু রাষ্ট্রকাঠামোর অনেক বিষয় নিয়ে, যেগুলো সংবিধানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, যাতে সংবিধানের মৌলিক কতগুলো বিষয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে—এত বড় পরিবর্তন শুধু সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে টেকসই করা সম্ভব কি না, সেই আশঙ্কার জায়গাটি আমাদের মাঝে রয়েছে।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে ইতিমধ্যে হাইকোর্টে সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং সেগুলো বাতিল হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আমরা সংবিধানে যে মৌলিক পরিবর্তনগুলো নিয়ে এসেছি, তা কীভাবে টেকসই ও কার্যকর করা যায়, সেই ব্যাপারে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান রেখেছি পদ্ধতি ঠিক করার ক্ষেত্রে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একটা ‘ইতিবাচক’ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন আখতার হোসেন।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ প্রমুখ।