সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড : কারখানায় বেশিরভাগই ছিল শিশুশ্রমিক | চ্যানেল খুলনা

রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ড : কারখানায় বেশিরভাগই ছিল শিশুশ্রমিক

দেশে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ হলেও শিশুদের দিয়েই চলছিল হাশেম ফুড লিমিটেডের সেজান জুস কারখানাটি। শিশু শ্রমিকদের অল্প বেতনে খাটাতো প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি কয়েক মাসের বেতনও বকেয়া ছিল তাদের।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের অধিকাংশই শিশু বলে জানিয়েছেন বেঁচে ফেরা শ্রমিকরা।

কারখানাটির শ্রমিক রাজিব বলেন, এখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক শিশু। তাদের মধ্যে যারা মেয়ে তাদের বয়স ১২ বছর থেকে শুরু আর ছেলেদের বয়স ১৪ থেকে শুরু। দরিদ্র পরিবারের শিশুরা এখানে তিন হাজার থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করে।
যে ভবনে আগুন লেগেছে সেই ভবনের পাশে একই কোম্পানির আরেকটি ভবনের দায়িত্বশীল একজন বলেন, মূলত কম বেতনের কারণেই মালিক শিশুদের নিয়োগ দিতেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) কারখানার প্রধান ফটকে অপেক্ষমাণ শ্রমিকরা জানান, দুজন ঠিকাদারের মাধ্যমে শিশুদের ভোলা ও কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হতো। এই শিশু শ্রমিকদের বেতন ধরা হতো খুবই কম। সাড়ে ৬ হাজার টাকা বেতনে তাদের চাকরি শুরু হতো। ৬ মাস পরে যাদের স্থায়ী (পার্মানেন্ট) করা হতো তাদের দেওয়া হতো ১০ হাজার ৫০০ টাকা। শুরুর দিকে হাতের কাজ করলেও চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর বিভিন্ন পণ্য তৈরির মেশিনের সহকারী হিসেবে কাজ করতো এই শিশুরা।
ভোলা ও কিশোরগঞ্জ থেকে যেসব শিশু নিয়ে আসা হতো তাদের একটি বড় অংশকে কারখানার পাশে কোয়ার্টারে রাখা হতো। সেখানে থাকা ও খাওয়া বাবদ এক হাজার টাকা প্রতি মাসে প্রত্যেক শিশুর কাছ থেকে নেওয়া হতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডর পর প্রাণভয়ে এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে ছুটছিল শিশু শ্রমিকরা।
কারখানাটির ইলেকট্রিক বিভাগের একজন বলেন, আমি নিচে ছিলাম। আগুন লাগার পর কোথায় লাগছে তা দেখতে উপরে যাই। তখন অনেকগুলো ছেলে ও মেয়ে শিশুকে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে দেখি। আমি দোতলা পর্যন্ত উঠে আবার নিচ দিয়ে নেমে আসি। তখনও দেখেছি বাচ্চাগুলো ছুটছে। তারা শুধু ওপরে উঠছিল। শেষে চারতলায় গিয়ে আটকা পড়ছে, আর উপরে উঠতে পারে নাই।
অধিকাংশ মরদেহ ভবনের একই জায়গায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। মোস্তাফিজ নামে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলেন, আগুনের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্করাই কী করবেন বুঝতে পারেন না, শিশুরা আরও বেশি আতঙ্কিত ছিল যে কারণে তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, যদি কারখানাটি শিশু শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়, তবে মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://channelkhulna.tv/

বাংলাদেশ আরও সংবাদ

বাংলাদেশ ভ্রমণে উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করল কানাডা

ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড

২৮ পদের ২৩টিতে জয়ী শিবির

ভারতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের অনুরোধ সরকারের

জাতিসংঘ পদক পেল বাংলাদেশ পুলিশের নারী কন্টিনজেন্ট

একসঙ্গে কি দেশে ফিরছেন পিনাকী-ইলিয়াস-কনক?

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।