বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা-খুলনা-মোংলা মহাসড়কে ফকিরহাটের টাউন নওয়াপাড়া ও কাটাখালি মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন জেলাবাসী।
বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আয়োজনে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মহাসড়কটির দুটি স্থানে ট্রাক দাঁড় করিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে ১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখেন কয়েক হাজার মানুষ। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আগামী রোববার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচী পালন করবে বলে কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান।
অবরোধের ফলে মোংলা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে।
এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মদ ইউনুস, বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, ফকিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ কামরুল ইসলাম গোরা, জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা তৈয়বুর রহমানসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বিএনপি, এনসিপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
জানা যায়, ১৯৮৪ সাল থেকে বাগেরহাট জেলায় চারটি সংসদীয় আসনে চার জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে জেলায় তিনটি আসন করার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশনের কারিগরি টিম। গত ৩০ জুলাই ওই প্রস্তাবের পর থেকে ক্ষোভে ফুসে উঠেছেন জেলার বাসিন্দারা। এরপর নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে সকল রাজনৈতিক দলগুলো। গঠন করা হয় সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। ওই কমিটির ব্যনারে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান, এমনকি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেছেন বাগেরহাটবাসী। আজ পালন করছেন সড়ক অবরোধ কর্মসূচি।
বাগেরহাট জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বলেন, আজ নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তাব বাতিল না করলে, আমরা নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। এরপর নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলায় একটি সংসদীয় আসন কমানোর প্রস্তাবের বিরোধীতা করে অনেকগুলো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ অগাস্ট ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে ওইসব নোটিশের শুনানী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।