
সহকর্মী পুলিশ সদস্যকে পরকীয়ার জেরে হত্যার দায়ে এক পুলিশ দম্পতিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে বুধবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক হারুন-অর রশিদ।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- কনস্টেবল মো. আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী কনস্টেবল নাসরিন নেলী। আলাউদ্দিনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ভবানীপুর এলাকায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালে কনস্টেবল আলাউদ্দিনের স্ত্রী নাসরিন নেলীর সঙ্গে সহকর্মী কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের জের ধরেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের কাঁচিঝুলি এলাকায় প্রেমিকা নেলীর ভাড়া বাসাতেই পরকীয়া প্রেমিক পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামকে খুন করেন নেলী ও তার স্বামী আলাউদ্দিন।
হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্ত পুলিশ দম্পতি সাইফুল ইসলামের মরদেহ বস্তাবন্দি করে গুম করার চেষ্টা করেন। তবে লাশ গুম করতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। নগরীর টাউন হল মোড়ে পুলিশের তল্লাশির সময় বস্তাবন্দি লাশসহ তারা হাতেনাতে আটক হন।
ঘটনার পর নিহত সাইফুলের মা মোছা. মুলেদা বেগম ২০১৪ সালের ১৩ আগস্ট ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় কনস্টেবল আলাউদ্দিন, তার স্ত্রী নাসরিন নেলীসহ আরও অজ্ঞাতনামা দুইজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
অপর একটি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
একইদিনে আরেকটি পৃথক মামলায় ২০২২ সালে তারাকান্দা থানায় সংঘটিত একটি হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। প্রতারণা করে স্বর্ণ চুরির ঘটনায় হত্যা মামলাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দায়রা জজ আদালত-৪-এর বিচারক জয়নাব বেগম এই রায়ে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং অন্যজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।


