
খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও খুলনা বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. মোতালেব শিকদার (৪২) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে মোতালেব শিকদারের নারী সঙ্গী তন্বীর একটি বাসায়। প্রাথমিক তদন্তে নারীঘটিত বিরোধের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পেছনে নারীঘটিত বিরোধ রয়েছে। রাতে একসঙ্গে ইয়াবা সেবনের পর সকালে মোতালেব শিকদার ও তার নারী সঙ্গীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গুলির ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনি ওই বাসা থেকে দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে যান।
পুলিশের প্রাথমিক তথ্যমতে, গুলিটি তার কানে লেগেছে। প্রথমে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে মাথার সিটি স্ক্যানের জন্য শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফিরে বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, তিনি আশঙ্কামুক্ত।
ঘটনাস্থল থেকে মাদকদ্রব্য ও অনৈতিক কার্যক্রমের কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রাতে তিন জন ব্যক্তি ওই বাসায় প্রবেশ করে এবং পরে দুজন বেরিয়ে যায়। তাদের ব্যবহৃত একটি গাড়িও জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, এনসিপির খুলনা মহানগরের এক সংগঠক সাইফ নেওয়াজ বলেন, মোতালেব শিকদার এনসিপির শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক ও খুলনা বিভাগীয় আহ্বায়ক। সামনে খুলনায় দলের একটি বিভাগীয় শ্রমিক সমাবেশ আয়োজনের কথা ছিল, যা নিয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে কাজ করছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।


