সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শুক্রবার , ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নগরীতে চিকিৎসক আর ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সমন্বয়ে রমরমা বাণিজ্য | চ্যানেল খুলনা

নগরীতে চিকিৎসক আর ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সমন্বয়ে রমরমা বাণিজ্য

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মো: রেজাউল হোসেনের(৩৬) রক্তের প্লাটিলেট পরীক্ষার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দিয়েছিলেন। হাসপাতালে এ পরীক্ষাটি হলেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অশেষ রায় নামের একজনকে ফোন দিয়ে রক্তের স্যাম্পল দেয়া হয়। সেটি ওই অশেষ রায়ই নিয়ে যান নগরীর বাবুখান রোডের সন্ধানী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। যথারীতি পরীক্ষাটি করিয়ে আনার পর রক্তের প্লাটিলেট দেখা যায় মাত্র ১৭ হাজারে নেমে গেছে। অথচ একই পরীক্ষাটি একই দিন খুমেক হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ থেকে করার পর দেখা যায় রক্তের প্লাটিলেট এক লাখ ৪০ হাজার। এতেই সন্দেহ হয় রোগীর লোকদের। পর পর আরও কয়েক রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় রিপোর্টে ব্যাপক গড়মিল। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সন্ধানী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ওই স্যাম্পল কালেক্টর অশেষ রায় হাসপাতালে গেলে রোগীর লোকেরা তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। আবার অশেষ রায়কে ছাড়াতে গিয়ে আশিষ নামের আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয় পুলিশ। এভাবেই ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে হাসপাতালের কিছু ডাক্তার ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বাণিজ্যের চিত্র ফুটে ওঠে।
খুমেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গতকাল সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ভর্তি থাকা বাদশা, হাবিবুর রহমান, তামান্নাসহ একাধিক রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এক এক ধরনের রিপোর্ট। অর্থাৎ একই রোগীর একাধিক প্রতিষ্ঠানের একাধিক রিপোর্ট। আবার প্রায় প্রতিটি রোগীর পরীক্ষাই করানো হয় সন্ধানী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে। এ প্রসঙ্গে রোগীর ভিজিটররা বলেন, ডাক্তার যখন পরীক্ষার পরামর্শ দেন তখন একটি চিরকুট ধরিয়ে দিয়ে বলা হয়, এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করলেই পরীক্ষাগুলো হয়ে যাবে। তখন চিরকুটের ওই নম্বরে ফোন দেয়া হলে সন্ধানী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের স্যাম্পল কালেক্টর অশেষ রায় এসে রক্তের স্যাম্পল কালেকশন করে নিয়ে যান। এভাবেই সরকারি হাসপাতালের রোগীর পরীক্ষা বাইরে থেকে করানো হচ্ছে।
যদিও গতরাতে খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: এসএম কামাল বলেন, হাসপাতালে অনেক রি-এজেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। সুতরাং এখন বাইরে থেকে পরীক্ষা করানোর কোন কথা নয়। তাছাড়া গতকালকের সন্ধানীর কথিত স্যাম্পল কালেক্টর আটকের বিষয়টি তিনি জানেন না বলেও উল্লেখ করেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডের সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা: পার্থ প্রতীম সাহাও গতকালকের ওই স্যাম্পল কালেক্টর আটকের কথা জানেন না বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রোগী কোন ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করাবেন সেটি তার ব্যাপার। এখানে ডাক্তারদের কোন পরামর্শ থাকে না।
সন্ধানী ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক পক্ষের পক্ষ থেকে জনৈক গৌতম জানান, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট ঠিকই আছে। এমনকি যিনি পরীক্ষার রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন সেই ডাক্তারও বলেছেন সবগুলো স্বাক্ষরই তার। তবে অনেক স্বাক্ষর করতে হয় বলে অনেক সময় স্বাক্ষরে গড়মিল হতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কেএমপির সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মমতাজুল হক বলেন, দু’ধরনের রিপোর্টের কারণে রোগীর লোকদের সন্দেহ হওয়ায় জটলা থেকে অশেষ রায় ও আশিষ নামের দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এখন কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। রোগীর কয়েকজন ভিজিটরও কাগজপত্র নিয়ে গতরাতে থানায় গিয়েছেন বলেও ওসি জানান।

https://channelkhulna.tv/

বিশেষ প্রতিবেদন আরও সংবাদ

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

খুলনার ছয়টি আসনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার আশায় আওয়ামীলীগে নতুন মুখ

ডুমুরিয়ার সীমান্তবর্তী সুইচ গেট মরন ফাদে পরিনত

হারিয়ে যাচ্ছে গাঁও গ্রামের মহিলাদের ঐতিহ্য জাঁতাকল

খুলনায় ঔষুধ কোম্পানির দৌরাত্ম্যে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে

প্রভাবশালীদের প্রভাবে ডুমুরিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখলের মহোৎসব থামছে না

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।