
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পর এবার কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছে বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গলবার দুপুরে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে’ উত্তেজিত বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পরে নিরাপত্তা বেড়াতে পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
দিল্লির ঘটনার কিছুক্ষণ পর একই ধরনের ঘটনা ঘটে কলকাতায়। পিটিআই ও দ্য হিন্দু জানিয়েছে—বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের সামনে কয়েক শ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, গেরুয়া পতাকা হাতে রাখা একদল লোক উত্তেজিত হয়ে ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছে।
এই বিক্ষোভের আহ্বান দেয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ও বজরং দল। তারা উল্লেখ করেছে—ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক যুবকের হত্যার প্রতিবাদ এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতেই তাদের কর্মসূচি।
২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে বিক্ষোভের ঘটনার পর ভারত দাবি করেছে—মাত্র ২০–২৫ জন তরুণ শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান দিয়েছে, কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে বাংলাদেশ এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রশ্ন তুলেছেন—অত্যন্ত সুরক্ষিত কূটনৈতিক এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা একাধিক ব্যারিকেড ভেঙে প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি এটিকে ভারতের পক্ষের “অতি সরলীকরণ” বলে মন্তব্য করেন।


