লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা পাওয়া দুই আসামিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। থানার সমানে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।
ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার মমিনপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে বেলাল হোসেন (৩৩) এবং একই উপজেলার মির্জারকোট গ্রামের সামসুল হকের ছেলে সোহেল রানা চপল (৩৫)। তারা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বলে জানা গেছে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস বলেন, বুড়িমারী-রংপুর মহাসড়কে বিভিন্ন পাথর ও বালু বোঝাই ট্রাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে উপজেলার সরেয়ার বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চাঁদাবাজির অভিযোগে বেলাল ও সোহেলকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তাদের কাছ থেকে চাঁদার লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বাসিয়ে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বেলাল ও সোহেলকে কারাদণ্ড দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই একদল লোক পাটগ্রাম থানার সামনে জড়ো হয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা থানায় ঢুকে কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে দুই আসামিকে নিয়ে চলে যান।
তিনি বলেন, পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ এবং বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের অন্তত সাতজন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় রংপুরের অতিরিক্ত ডিআইজি শরীফ উদ্দিন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রাকিব হায়দার, জেলা পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। করে সারজিসের পোস্ট, কী লেখা আছে