টানা বর্ষণে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া বালিয়া ও শাহজাতপুর এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে যে কোনো মুহূর্তে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে দেখা যায়, নদীর তীব্র স্রোতে বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বালিয়া ভাঙ্গনকূল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের উদ্যোগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ রক্ষায় কাজ করে চলেছেন। সমিতি থেকে এক লক্ষ টাকা অনুদানও দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এটি অস্থায়ী সমাধান, স্থায়ী বাঁধ সংস্কারে সরকারি আর্থিক সহায়তা অত্যাবশ্যক।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি নির্মাণ করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ডুমুরিয়া, শাহজাতপুরসহ অন্তত ৭ টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে। ঘরবাড়ি ও ফসল রক্ষায় দ্রæত সরকারি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
খেশরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এসএম লিয়াকত হোসেন বলেন, “সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগেও ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু এখনো কোনো সরকারি বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।”
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, “কপোতাক্ষ নদের যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেটি এলজিইডির অধীনস্থ হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়।”
তালা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান, “বালিয়া ভাঙনকূল সমবায় সমিতির কাছে ইতিমধ্যে বাঁধটি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী তারা প্রাথমিক মেরামত করতে পারবে। এছাড়া এলজিইডির পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রæত বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপা রানী সরকার বলেন যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।